‘ধর্ষককে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করুন’
Published: 9th, March 2025 GMT
হঠাৎ দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে দেশে। একের পর এক ঘটছে নারকীয় ঘটনা। এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন দেশের মানুষ। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মাগুরায় শিশু ধর্ষণের বিচার দাবিতে সোচ্চার পুরো দেশ। সোচ্চার শোবিজের তারকারাও।
ধর্ষকের বিচার চেয়ে শনিবার রাস্তায় নেমেছিলেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তাঁদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে অভিনয়শিল্পী গোলাম ফরিদা ছন্দা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ জানাই ঢাবিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বোনদের, ভাইদের—যাঁরা রাত থেকে ধর্ষকের শাস্তির জন্য আন্দোলন করছেন। টনক কি নড়বে?’
তরুণ গায়ক তাশরিফ খান গান গাওয়ার পাশাপাশি সমাজের নানা ইস্যুতে সোচ্চার থাকেন। নিজের অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানান। আজ এই তরুণ গায়ক তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ, প্রকৃত ধর্ষকের ছবি আপনারা ভেরিফায়েড পেজ/ ওয়েবসাইট থেকে আপলোড করে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করুন। বাকিটা আমরা দেখতেছি!’
তরুণ অভিনয়শিল্পী যাহের আলভী স্থিরচিত্রটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘জীবনের পথে একজন সাইকেলে, একজন হেঁটে—কিন্তু দুজনেই এগিয়ে চলেছে নিজেদের গন্তব্যে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’
ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।
একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’
এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।
মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’