ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ
Published: 9th, March 2025 GMT
আগামী ১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের আসনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ১৪ মার্চ অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ দিনের অগ্রিম টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো.
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৪ মার্চ; ২৫ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ মার্চ; ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৬ মার্চ; ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৭ মার্চ; ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৮ মার্চ; ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ।
আরও জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ৩১ মার্চ, ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হতে পারে। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিট একজন যাত্রী সর্বোচ্চ একবার কিনতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে ৪টি আসন সংগ্রহ করতে পারবেন। কোনো টিকিট রিফান্ড করা যাবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই, পৌর মিনিবাস টার্মিনালে ভাগাড়
দুই যুগ আগে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও ময়লা ফেলার জন্য নিজস্ব ডাম্পিং স্টেশন নেই। এতে পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিয়ানীবাজার পৌর মিনিবাস টার্মিনালেও দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি টার্মিনালটি ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার প্রতিবছরের বাজেটে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণে জমি কিনতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়। গত কয়েকটি বাজেটে ধারাবাহিকভাবে এ খাতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বাজেটে বরাদ্দ রেখেই তাদের দায় সারছে। কাজের কাজ কিছুই করছে না। পৌর মিনিবাস টার্মিনালসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত ৪-৫ বছর ধরে মিনিবাস টার্মিনাল এলাকায় ময়লা ফেলছে পৌরসভা। সম্প্রতি মিনিবাস টার্মিনাল এলাকার পাশাপাশি খাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ও কটুখালীপাড় এলাকার লোলাখাদেও ময়লা ফেলা হচ্ছে। নিজস্ব ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পৌরসভার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
বেসরকারি একটি ব্যাংকে চাকরি করেন আলী হোসেন। তিনি বলেন, পৌর শহরে আসতে বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়ক ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু পৌর মিনিবাস টার্মিনাল এলাকায় ফেলা ময়লার গন্ধে যাত্রী ও চালকদের এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
লাসাইতলা ও কদুগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, রহিম উদ্দিনসহ স্থানীয়দের ভাষ্য, অন্যত্র বসবাসের মতো পরিস্থিতি থাকলে পুরো গ্রামের মানুষ এ ময়লার কারণে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতেন। তাদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর থেকে পৌরসভাকে বারবার প্রতিবাদ জানানোর পরও তারা মিনিবাস টার্মিনালে ময়লা ফেলা বন্ধ করেনি। এতে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মিনিবাস টার্মিনালটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না বলেন, মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি নজরে আসায় বিকল্প পন্থা হিসেবে সিলেট সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সপ্তাহে দুইবার ট্রাকে করে ময়লা নিয়ে যাওয়া হবে। ইতোমধ্যে সেখানে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা নেওয়া হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেশি হচ্ছে, যা পৌরসভার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।