জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের সহায়তার জন্য অধিদপ্তর হচ্ছে
Published: 9th, March 2025 GMT
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “শহীদদের আত্মত্যাগেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে। বর্তমান সরকার আহতদের যতদিন প্রয়োজন ততদিন চিকিৎসা সুবিধা দেবে। আহত এবং শহীদ পরিবারদের সহায়তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তর হচ্ছে।”
রোববার (৯ মার্চ) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ এবং আহতদের কাছে আমরা সবাই ঋণী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের যে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়।”
আরো পড়ুন:
চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজড করার নির্দেশ দিল সরকার
পতিত স্বৈরাচার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি আরো বলেন, “তাদের কারণেই আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। অন্যায় এবং অবিচার বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ এবং সাধারণ মানুষ কখনোই মেনে নেয় না, এটি ২০২৪ এর ছাত্র আন্দোলন আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে।”
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে আহত খুলনার ৬১ জনের মধ্যে ৪০ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। এ নিয়ে মোট ৫৩ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলো।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো.
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই বিপ্লবে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং জুলাই বিপ্লব নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক গ্রীণ ইউনিভার্সিটির
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্তকায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে এবং গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজার সমর্থনে রূপগঞ্জে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে ইসরাইলের পণ্য বয়কটের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করা হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ্, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, গোটা বিশ্বে আজ সবচেয়ে নিগৃহীত ফিলিস্তিনবাসী। নবজাতক ও শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদেরকেও আজ ইসরাইলিরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।
আহত হয়ে বিনা চিকিৎসা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শত শত মানুষ। আহতদের চিকিৎসা প্রদানে এগিয়ে আসা স্বাস্থ্য-কর্মীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব মানবতার আর চুপ থাকা উচিত নয়।
এ সময় তিনি নিহত প্রত্যেক ফিলিস্তিনির রুহের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভে সবাইকে দোয়ার করার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতার চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত- এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা।
পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য বয়কট করা। মানববন্ধন শেষে জোহর নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।