একশ’র পরই চার উইকেট হারিয়ে চাপে কিউইরা
Published: 9th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু পেলেও একশ’ রানের পর ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টায় ক্রিজে আছেন ড্যারেল মিশেল ও গ্লেন ফিলিপস।
নিউজিল্যান্ড ২৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে ব্যাট করছে। মিশেল ৪৯ বলে ২৫ ও ফিলিপস ৩ রানে খেলছেন।
নির্ভার ওপেনিং জুটি: উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র মিলে ৭.
কেন-ল্যাথাম ব্যর্থ: বড় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট হাতে ভরসা দিতে হতো কেন উইলিয়ামসনের। কিন্তু ১১ রানে দলটির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার আউট হন। তাকেও আউট করেন কুলদীপ। মিডলে নির্ভরতার নাম টম ল্যাথামও ভারতের স্পিনে খেই হারান। তিনি ১৪ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হন।
শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে কিউইদের পেস আক্রমণের নেতা ম্যাট হেনরিকে ছাড়া খেলতে হচ্ছে। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। অধিনায়ক স্যান্টনার তাকে পাওয়ার আশা করলেও ছিটকে গেছেন আসরে সর্বাধিক উইকেট নেওয়া পেসার।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি ও বরুন চক্রবর্তী।
নিউজিল্যান্ডের একাদশ: উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), কাইল জেমিসন, নাথান স্মিথ ও উইল ও’রুর্ক।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার দেওয়া খেলনা থেকেই উড়োজাহাজ উদ্ভাবনের নেশা
উইলবার রাইট আর অরভিল রাইট। পিঠাপিঠি দুই ভাইকে ‘রাইট ব্রাদার্স’ নামেই চেনে বিশ্ব। কিংবদন্তি এই দুই উদ্ভাবক উড়োজাহাজ উদ্ভাবন করেন এবং বিশ্বের মানুষকে উড়তে শেখান। বড় ভাই উইলবারের জন্মদিন আজ ১৬ এপ্রিল।
উইলবার ১৮৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের মিলভিলের কাছে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের চার বছর পর ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ডেটনে জন্মগ্রহণ করেন অরভিল। বড় ভাইয়ের জন্মদিনে জেনে নেওয়া যাক উড়োজাহাজ উদ্ভাবনে দুই ভাইয়ের সাধনার গল্প।
খেলনা থেকে আকাশে ওড়ার স্বপ্নশিশুকালেই দুই ভাইয়ের মনে আকাশজয়ের নেশা দানা বেঁধেছিল। জানা যায়, বাবার দেওয়া একটি খেলনা হেলিকপ্টার তাঁদের মনে বুনে দিয়েছিল স্বপ্নের বীজ। ১৮৭৮ সালের কোনো এক সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন বাবা মিল্টন রাইট। এ সময় ছোট দুই ছেলের জন্য আনা একটি উপহার বাসার মধ্যেই ওপরে ছুড়ে মারেন বিশপ বাবা।
১৯০৮ সালে একটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুই ভাই বলেন, ‘ধারণা করছিলাম খেলনাটি মেঝেতে পড়ে যাবে। কিন্তু মেঝেতে পড়ে যাওয়ার পরিবর্তে কক্ষের ছাদের অংশে ধাক্কা লাগার আগপর্যন্ত এটি উড়তে থাকে। ধাক্কা লেগে এটি উল্টে যায় এবং মেঝেতে পড়ে যায়।’
কর্ক, বাঁশ ও কাগজ দিয়ে তৈরি এবং রাবার ব্যান্ড দ্বারা চালিত হেলিকপ্টার মডেলটি দুই ভাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে। এ ধরনের আকাশযানের প্রতি তাঁদের মধ্যে তুমুল আবেগ তৈরি হয়। আকাশে ওড়ার স্বপ্ন রীতিমতো নেশার মতো কাজ করে দুই ভাইয়ের মধ্যে।
যদি লক্ষ্য থাকে অটুটএই স্বপ্ন পূরণ এতটা সহজ ছিল না রাইট ভাইদের জন্য। এর বড় কারণ ছিল এ ধরনের আকাশযান তৈরির প্রকৌশল জ্ঞান এবং আর্থিক সংস্থানের অভাব। দুজনেরই হাইস্কুলে থাকার সময় পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যদিও পরে একজন ডিপ্লোমা করতে পেরেছিলেন। অর্থের ব্যবস্থা করাও এতটা সহজ ছিল না দুজনের জন্য।
দুই ভাই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন পত্রিকা আর ছাপাখানার ব্যবসা দিয়ে। তবে এ ব্যবসায় তেমন সফল হননি তাঁরা। এরপর দুই ভাই ‘দ্য রাইট সাইকেল কোম্পানি’ নামে বাইসাইকেলের ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে ভাড়া দেওয়া বা যন্ত্রাংশ বেচাকেনায় সীমাবদ্ধ থাকলেও শিগগিরই তাঁরা নতুন নতুন নকশায় সাইকেল তৈরি করতে শুরু করেন। ২০ বছর এই ব্যবসা করে আয়রোজগারও করলেন বেশ।
এরপর শুরু হলো আসল স্বপ্নের পথে যাত্রা। ১৮৯৯ সাল থেকে শুরু হলো গবেষণা। ১৯০০ সালে তৈরি করলেন প্রথম গ্লাইডার (একধরনের উড়োযান)। ১৯০১ থেকে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত নিরলসভাবে চলতে থাকে প্রচেষ্টা। অনেকবারই দুই ভাইয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে তাঁরা হাল ছাড়েননি। একবার উড্ডয়নের চেষ্টা ব্যর্থ হলে ত্রুটি সারিয়ে এবং আরও নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে আবার নেমে পড়েন দুই ভাই।
এই ফ্লায়ার দিয়েই উড্ডয়নের পরীক্ষায় প্রথম সফলতা পান রাইট ভাইয়েরা