ধর্ষণের বিচার ৯০ দিনে সম্পন্ন করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
Published: 9th, March 2025 GMT
ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকাজ শেষ করতে হবে।
আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমরা বেশকিছু উদ্যেগ নিয়েছি। আমরা মাগুরায় শিশুটির সঙ্গে ঘটে যাওয়ার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার নারী নির্যাতন আইন পরিবর্তন করছে। গত কয়েকদিনের যেসব মব জাস্টিস এবং মরাল পুলিশিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সব ঘটনা সরকারের পর্যবেক্ষণে আছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, যে কোনো অপরাধী বিচারের বাইরে থাকবে না।
আইন উপদেষ্টা বলেন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দমনে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত সব ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিকল্পে মামলাগুলোকে নিয়মিত পর্যালোচনা আনছে। রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশ দ্রুত আলাদা হটলাইন চালু করবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট বিশ্বমঞ্চে দেশের সম্ভাবনা তুলে ধরার অসামান্য উদ্যোগ
দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকায় গত সোমবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট–২০২৫’ শীর্ষক এ বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এ সম্মেলন আজ বুধবার শেষ হবে।
এ সম্মেলন নিয়ে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা)–এর সভাপতি খালেদ উর রেহেমান বলেছেন, এ সম্মেলন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ইনভেস্টমেন্ট সামিট। ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট–২০২৫’ বিশ্বমঞ্চে দেশের সম্ভাবনা তুলে ধরার এক অসামান্য উদ্যোগ, যা নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি। এ খাত শুধু বিদেশি পর্যটক বা ব্যবসায়ীদের স্বাগত জানাচ্ছে না; বরং দেশের বেসরকারি খাত থেকে উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে। বিআইএইচএর আওতাধীন সব হোটেল সদস্য বর্তমানে বাংলাদেশে আসা সব বিদেশি অতিথি, বিনিয়োগকারী ও পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এ হোটেলগুলো দেশের সম্মান ও আস্থা বৃদ্ধি করছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও দৃঢ় করছে। তবে এই খাতে টেকসই ও ব্যাপক অগ্রগতির জন্য সরকারের সহানুভূতিশীল সহযোগিতা, বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা ও প্রণোদনা প্রয়োজন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হলে এই খাতের প্রতি সরকারের দৃষ্টি ও সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। এই সম্মেলন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। বিশ্বকে এখনই আমন্ত্রণ জানাতে হবে—বাংলাদেশে আসুন, আমাদের সম্ভাবনা দেখুন, আমাদের অংশীদার হোন।’