ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তারা হলেন- আশরাফুল ইসলাম সিয়াম (২০) ও জিৎ সরকার (১৯)।

রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সেই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। 

এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) রাতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ পাঁচগাও ঋষিপাড়া নয়াবাড়ী এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, “ওই গৃহবধূর বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলায়। স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে গতকাল বাড়ি থেকে লঞ্চে করে ঢাকা সদরঘাটে আসেন তিনি। সদরঘাট থেকে কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া এলাকায় গেলে রাত হয়ে যায়। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে দুই যুবকের সঙ্গে কথা হয়। তারা ওই গৃহবধূকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আরও দুজন আগে থেকেই ছিল।”

তিনি আরো বলেন, “তিনজন মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আরেকজন ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই নারীর চিৎকারে আশেপাশের মানুষ জড়ো হয়ে দুজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। বাকী দুজন পালিয়ে যায়। থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ২০।”

গৃহবধূ জানিয়েছে সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মাজহারুল ইসলাম।

ঢাকা/শিপন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বুড়িগঙ্গায় সাকার ফিশ ‘সাফা কইরা দিছেন’ একজন মাঝি

রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রী পারাপার করান নৌকার মাঝি খলিলুর রহমান (৪২)। বুড়িগঙ্গায় এখন সাকার ফিশ পাওয়া যায় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, সাকার ফিশ অনেকটাই কমে গেছে।

সাকার ফিশে ভরা ছিল দেশের অত্যন্ত দূষিত নদী হিসেবে পরিচিত বুড়িগঙ্গা। সে নদী থেকে এত সাকার ফিশ কোথায় গেল, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান সঙ্গে সঙ্গে বলেন ফজলু মিয়ার কথা।

‘ফজলু একাই সব সাফা কইরা দিছেন,’ বলেন খলিল। ফজলু মিয়াকে কোথায় পাওয়া যাবে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁকে পাওয়া যাবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গার পাড়সংলগ্ন বেবি সাহেবের ঘাটে।

খলিলের নৌকা নিয়েই ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে রওনা দিলাম ফজলু মিয়ার সন্ধানে। সদরঘাটে নোঙর করা বড় সব লঞ্চের ফাঁকফোকর দিয়ে খলিলের নৌকা চলা শুরু করল। ২০ মিনিট পর পৌঁছে গেলাম বেবি সাহেবের ঘাট এলাকায়, যেটি সদরঘাট থেকে বাঁ দিকে কিছু দূরে। ঘাটে গিয়ে খলিল একটি নৌকা দেখিয়ে বললেন, এটি ফজলুর। কিন্তু তিনি নেই।

ফজলুর সন্ধানে এসেছি, সেটা জানার পরে আশপাশের মাঝিরা বললেন, ‘ফজলু এখন ভাইরাল।’ অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ফজলুর কীর্তি। মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুড়িগঙ্গায় যাঁরা সাকার ফিশ ধরেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ফজলু। দিনের পর দিন তাঁর মতো কেউ সাকার ফিশ ধরেনি।

মাঝিদের কয়েকজন জানান, ফজলু তাঁর বাসায় আছেন। জুমার নামাজের পরে দেখা দেখা পাওয়া যেতে পারে, এমনটা জানালেন তাঁরা। কেউ একজন খবর পাঠিয়েছেন ফজলুর বাসায়।

বেলা দুইটার আগে ফজলুর দেখা পাওয়া গেল ঘাটে আসার সরু পথে। কাছে এসে হাসিমুখে বললেন, ‘আমি ভাইরাল ফজলু।’

সাকার ফিশের মতো মাছ কেন ধরতে গেলেন, তা জানতে চাইলে ফজলু মিয়া (৪০) প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাগে, ক্ষোভে।’

বুড়িগঙ্গার মাঝি ফজলু মিয়া গত এক বছর ধরে নিয়মিত সাকার ফিশ ধরে যাচ্ছেন। যার ফলে সাকার ফিসের উপদ্রব কমে আসছে বলে জানিয়েছে ঢাকা জেলা মৎস্য অফিস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বুড়িগঙ্গায় সাকার ফিশ ‘সাফা কইরা দিছেন’ একজন মাঝি
  • সদরঘাটে অপূর্ব, ফারিণের দৌড়...