মাগুরায় আদালতের ফটক ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
Published: 9th, March 2025 GMT
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে এবার ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বেলা আড়াইটার পর তাঁরা শহরের ভায়না মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল ফটকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন।
বেলা তিনটার দিকে ভায়নার মোড় গিয়ে দেখা যায়, গোলচত্বর ঘিরে অবস্থান নিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা ধর্ষণের বিচার চেয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁরা বলেন, উচ্চ আদালত এই মামলার বিচারের জন্য ১৮০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন। এটা তাঁরা প্রত্যাখ্যান করছেন। তাঁরা এ ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চান। আর এই বিচার নিশ্চিত না হলে তাঁরা ঘরে ফিরবেন না।
এ সময় মাগুরা থেকে ঢাকা, যশোর ও ঝিনাইদহ অভিমুখী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা। কয়েকজন পরিবহনশ্রমিক বলেন, রমজানের সময় প্রচণ্ড গরমে যানজটের কারণে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
আরও পড়ুনমাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় চার আসামির রিমান্ডের আবেদন, আদালতের ফটকে বিক্ষোভ১ ঘণ্টা আগেএর আগে বেলা ১১টার দিকে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভেতর থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে তাঁরা মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় মূল ফটক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পাশাপাশি চৌরঙ্গী মোড় থেকে নতুন বাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা একটার পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি দল আসে। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। সেনাবাহিনীর আশ্বাসে বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের মূল ফটক ছেড়ে দিয়ে ভায়নার মোড়ের দিকে চলে যান আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটির ছবি-ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ২ ঘণ্টা আগেএদিকে ওই শিশু ধর্ষণের মামলায় চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে। তবে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত রিমান্ড শুনানি হয়নি।
গতকাল শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের গতকাল বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়।
মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে গতকাল বিকেলে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) ভর্তি করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ল ফটক
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় আদালতের ফটক ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে এবার ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বেলা আড়াইটার পর তাঁরা শহরের ভায়না মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল ফটকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন।
বেলা তিনটার দিকে ভায়নার মোড় গিয়ে দেখা যায়, গোলচত্বর ঘিরে অবস্থান নিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা ধর্ষণের বিচার চেয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁরা বলেন, উচ্চ আদালত এই মামলার বিচারের জন্য ১৮০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন। এটা তাঁরা প্রত্যাখ্যান করছেন। তাঁরা এ ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চান। আর এই বিচার নিশ্চিত না হলে তাঁরা ঘরে ফিরবেন না।
এ সময় মাগুরা থেকে ঢাকা, যশোর ও ঝিনাইদহ অভিমুখী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা। কয়েকজন পরিবহনশ্রমিক বলেন, রমজানের সময় প্রচণ্ড গরমে যানজটের কারণে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
আরও পড়ুনমাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় চার আসামির রিমান্ডের আবেদন, আদালতের ফটকে বিক্ষোভ১ ঘণ্টা আগেএর আগে বেলা ১১টার দিকে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভেতর থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে তাঁরা মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় মূল ফটক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পাশাপাশি চৌরঙ্গী মোড় থেকে নতুন বাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা একটার পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি দল আসে। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। সেনাবাহিনীর আশ্বাসে বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের মূল ফটক ছেড়ে দিয়ে ভায়নার মোড়ের দিকে চলে যান আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটির ছবি-ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ২ ঘণ্টা আগেএদিকে ওই শিশু ধর্ষণের মামলায় চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে। তবে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত রিমান্ড শুনানি হয়নি।
গতকাল শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের গতকাল বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়।
মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে গতকাল বিকেলে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) ভর্তি করা হয়েছে।