মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির জন্য বিচার চাইলেন দেশ সেরা চিত্রনায়ক শাকিব খান। রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি। তাতে শাকিব খান লিখেন, “জাস্টিস ফর আছিয়া, উই ওয়ান্ট জাস্টিস।”  

মাগুরায় ৮ বছরের শিশু বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়। গত ৬ মার্চ রাতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির অবস্থা এখনো চরম সংকটাপন্ন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরাও। ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খানও বিচার চাইলেন। দুই ঘণ্টার মধ্যে তার এ পোস্টে রিঅ্যাক্ট পড়েছে ৯৪ হাজার। মন্তব্য পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। 

আরো পড়ুন:

সবকিছু ভেঙেচুরে বরবাদ হয়ে যাচ্ছে: বুবলী

বরবাদের টিজারে ধুন্ধুমার অ্যাকশন: মন কেড়েছে শাকিব ভক্তদের

ভক্ত-অনুরাগী ছাড়াও চলচ্চিত্রের অনেকে মন্তব্য করে সহমত পোষণ করেছেন। চিত্রনায়িকা পলি লেখেন, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস।” তা ছাড়াও অভিনেতা এল আর খান সীমান্ত, নির্মাতা তপু খানসহ অনেকে মন্তব্য করেছেন। 

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের ঈদের সিনেমা ‘বরবাদ’-এর টিজার। সিনেমাটিতে তার লুক প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় শাকিবের নতুন এই সিনেমা। পরে ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের টিজারের সংলাপগুলোও পছন্দ করেছেন শাকিব ভক্তরা।

‘বরবাদ’ সিনেমার টিজারে শাকিবকে পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি লুকে। টিজার দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেম আর প্রতিশোধের গল্প হতে যাচ্ছে ‘বরবাদ’। দারুণ সব অ্যাকশন দৃশ্যের হাতছানি রয়েছে সিনেমাটিতে। এতে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তও অভিনয় করেছেন। তার লুক, এক্সপ্রেশন দেখে অনেকেই মন্তব্য করছেন— এবার জমজমাট লড়াই হবে।

শাকিব, যীশু ছাড়াও এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল, মানব সচদেব, মিশা সওদাগর প্রমুখ। জানা গেছে, সিনেমাটির একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান। বড় অংশের শুটিং হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠে ফের হাট বসানোর চেষ্টায় প্রভাবশালীরা

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া এস সি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির অবস্থান পাশাপাশি। একই মাঠে খেলাধুলা করে শিক্ষার্থীরা। আগে মাঠটিতে সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার হাট বসত। গত বছরের ১২ মে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন মাঠে হাট বন্ধ করে। তখন থেকে পাশের ব্যক্তি মালিকানার জমিতে চলে বেচাকেনা। 
এমন উদ্যোগে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরে বিদ্যালয় দুটিতে। সম্প্রতি শিয়ালখোওয়া হাটের ইজারা নিয়েছে প্রভাবশালী এক মহল। তারা মাঠটিতে ফের হাট বসানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। হাট না বসানোর দাবিতে গত মাসে অভিভাবকদের পক্ষে আব্দুল খালেক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
মাঠে ফের হাট বসবে বলে শুনেছেন শিয়ালখোওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম। তাঁর ভাষ্য, হাট বসলে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হবে। সকাল ১০টার পর থেকে দোকান বসার পাশাপাশি লোকজনের সমাগম বাড়তে শুরু করে। এসসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনীন্দ্রনাথ রায় বলেন, হাটের দিনে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকে। বিদ্যালয় মাঠে আবারও হাট বসবে কিনা–এ বিষয়ে ইউএনওর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাটের পাশে এ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও তিনটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে দেড় হাজারের বেশি ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করছে। একটি মাঠই তাদের ভরসা। 
ব্যবসায়ী মাসুদ রানার ভাষ্য, আগের সরকারের আমলে ৭৬ শতক খাসজমিতে দোকান তুলে ভাড়া দেয় একটি চক্র। সেখানে হাট না বসিয়ে ব্যক্তিমালিকানায় কার্যক্রম চালায় আগের ইজারাদার। এবার বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসানোর চেষ্টা করছে। সামাজিক সংগঠন অন্ন-ধারা ২৬-এর সভাপতি সোহেল রানা বলেন, নতুন ইজারাদার এলাকার বড় নেতার লোক বলে পরিচিত।
শিয়ালখোওয়া হাট ও বাজারে তামাক, গরু, ছাগল, হাস, মুরগি, সাইকেল, মাছসহ নানান জিনিস বেচাকেনা চলে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হাটের কার্যক্রম চালু হলে ব্যাপক লোকসমাগম, শব্দদূষণ ও বর্জ্যে শিক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অতিরিক্ত লোকসমাগমে সামাজিক অপরাধ বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
৭৬ লাখ টাকা ইজারায় হাটের ডাক পেয়েছেন বলে জানান শিয়ালখোওয়া হাট ও বাজারের ইজারাদার আসাদুল ইসলাম হিরু। তিনি বলেন, ‘দেখা যাক কোথায় হাট বসানো যায়। সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইউএনও জাকিয়া সুলতানা বলেন, অনেক আগ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে হাট বসত। গত বছর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ বছর আবারও হাট বসবে কিনা, এ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হাটটি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে বিকল্প স্থান খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ