ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকাজ শেষ করতে হবে।

আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমরা বেশকিছু উদ্যেগ নিয়েছি। আমরা মাগুরায় শিশুটির সঙ্গে ঘটে যাওয়ার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার নারী নির্যাতন আইন পরিবর্তন করছে। গত কয়েকদিনের যেসব মব জাস্টিস এবং মরাল পুলিশিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সব ঘটনা সরকারের পর্যবেক্ষণে আছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, যে কোনো অপরাধী বিচারের বাইরে থাকবে না।

আইন উপদেষ্টা বলেন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দমনে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত সব ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিকল্পে মামলাগুলোকে নিয়মিত পর্যালোচনা আনছে। রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশ দ্রুত আলাদা হটলাইন চালু করবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে এক সড়ক ও দুটি স্থাপনা থেকে শেখ হাসিনা ও রাসেলের নাম বাদ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের এক সড়ক ও দুটি স্থাপনা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট ভাই শেখ রাসেলের নাম বাদ দিয়েছে। এসব নাম পরিবর্তন করে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। বিষয়টি আজ বুধবার জানা যায়।

গত ১৬ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পতন হওয়া সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে সিটি করপোরেশনের সড়ক, ভবন ও স্থাপনার নামকরণ পরিবর্তনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এরপর স্থাপনার বিদ্যমান নাম পরিবর্তন এবং নতুন নামকরণের বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সিটি করপোরেশন।

নাম পরিবর্তন করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরের জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়কের নাম পরিবর্তন করে বিমানবন্দর সড়ক করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চে নগরের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়ক ও ভিআইপি সড়ককে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ সড়ক নামকরণ করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম নগরের আমবাগানে শেখ রাসেল পার্ককে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে শহীদ ওয়াসিম আকরাম পার্ক করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই উদ্যান করেছিল সিটি করপোরেশন।

নগরের উত্তর কাট্টলীতে অবস্থিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হলে নতুন নামকরণ করা হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর স্টেডিয়ামের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে সংস্কার ও মেরামতকাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে নতুন নামকরণ করবে সিটি করপোরেশন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ