সুনামগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৫
Published: 9th, March 2025 GMT
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের দিরাই ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বনভূমি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আশিক মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আজ একটি পক্ষ বিষয়টি মীমাংসা করতে আলোচনায় বসতে চাইলে অন্য পক্ষ তাতে রাজি হয়নি। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এসময় লুৎফুর পক্ষের লোকজন গুলি চালালে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন ২৫ জন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে দুই পক্ষের গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ
মাদারীপুরে বালু ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে ২ ভাই নিহত
দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষের ১৪ জন ও অপর পক্ষের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি।”
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ জন গ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় ‘শিশু ধর্ষণে’ মীমাংসার সালিস থেকে অভিযুক্ত বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
কুমিল্লা লালমাইয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। পরে গ্রামের কয়েকজন মাতবর ঘটনাটি মীমাংসার জন্য সালিসে আয়োজন করেন। সেখানে ধর্ষণের ঘটনায় ওই বৃদ্ধকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। তবে সালিসের এক পর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, শনিবার রাত ১০টায় লালমাইয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়িতে সালিস বসে। সেখানে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে পৌঁছে শিশুটির মুখে ধর্ষণের বর্ণনা শুনে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে আটক করে। পরে রোববার বিকেলে শিশুটির মা বাদী হয়ে ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে লালমাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
শিশুটির চাচা বলেন, নির্যাতিত শিশুটির ধর্ষণের অভিযোগের বর্ণনা শুনে গ্রামের মাতবরেরা অভিযুক্ত বৃদ্ধকে সালিস বৈঠকে নিয়ে আসতে বললে গতকাল রাত ১০টার দিকে গ্রামের কয়েকজন ছেলে তাকে একটি চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। বৈঠকে দুই পক্ষের লোকজন একমত হয়ে ওই বৃদ্ধকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় তার পক্ষে দুই হাজার টাকা জমা দিয়ে রায় কার্যকরও করা হয়েছিল। খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে এলে সালিস বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়, পরে পুলিশও আসে। অভিযোগের বর্ণনা শুনে তারা বৃদ্ধকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
সালিসে উপস্থিত ফজলুর রহমান মিন্টু বলেন, গ্রামের গণ্যমান্যদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে শনিবার রাতে সালিস বৈঠক হয়েছে। শিশুটির ওষুধ খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা রায় করেছিল সালিসের বিচারকরা। বৃদ্ধের পক্ষে মাতবরের কাছে ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে রায়ও কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু রাত ২টায় সেনাবাহিনীর টিম গিয়ে বৃদ্ধকে আটক করে নিয়ে গেলে সালিস বৈঠক সমাপ্ত হয়।
স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই রেদোয়ান হোসেন বলেন, লালমাই আর্মি ক্যাম্পের একটি টিম যাওয়ার পর খবর পেয়ে আমরা শিশুটির বাড়িতে যাই। ভিকটিম ও তার পরিবারের কথা শুনে আমরা বৃদ্ধকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিশুটির মা মামলা করেছেন। এ মামলায় ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিম ওই শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।