আমার কোমরে সেই দাগটা ১০ বছর ছিল: শিল্পা
Published: 9th, March 2025 GMT
১৯৯৩ সালের ১২ নভেম্বর মুক্তি পায় আলোচিত হিন্দি সিনেমা ‘বাজিগর’। সিনেমাটির প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেন— শাহরুখ খান, শিল্পা শেঠি ও কাজল। সিনেমাটির একটি দৃশ্যে, বাড়ির ওপর থেকে শিল্পাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শাহরুখ। এই দৃশ্যটিও এখন অন্তর্জালে ভাইরাল। কারণ এ দৃশ্যের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা একটি চলচ্চিত্র উৎসবে শেয়ার করেছেন শিল্পা।
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের শুরুর ঘটনা বর্ণনা করে শিল্পা শেঠি বলেন, “সেই সময়ে চলচ্চিত্র সম্পর্কে কোনো জ্ঞান ছিল না। জানতাম না কীভাবে অভিনয় করতে হয়। আমি শুটিং সেটে একজন ছাত্রীর মতো ছিলাম। প্রথমদিকে তো খুব নার্ভাস থাকতাম। আমি দক্ষিণ ভারতের, তাই সেটে কখনো হিন্দিতে কথা পর্যন্ত বলতে পারিনি।”
হিন্দি ভাষা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেই স্মৃতিচারণ করে শিল্পা শেঠি বলেন, “আমি যখন ‘আগ’ সিনেমা করি, তখন কাদের ভাইকে উর্দু শিখিয়ে দিতে বলতাম। আমি শুরু থেকেই শিখছিলাম। সংলাপ বলার সময়ে আমি খুবই নার্ভাস অনুভব করতাম। তারপরও সবকিছু ঠিক ছিল কারণ আমি প্রকাশ করতে পারি। আমি কী বলতে চাইছি, মানুষ তা বুঝতে পারতেন।”
আরো পড়ুন:
নায়ক শাহরুখ, তবু অভিনয়ের প্রস্তাব ফেরান কাজল
আমি একজন ব্লাডি স্টার: শাহরুখ
‘বাজিগর’ সিনেমার সেই দৃশ্যের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে শিল্পা শেঠি বলেন, “আকবর ভাই সিনেমাটির অ্যাকশন ডিরেক্টর ছিলেন। আমরা সেই দৃশ্যটি প্রায় পাঁচবার শুট করেছি। আমার কোমরে প্রায় ৮-১০ বছর ওই দাগটা ছিল। কারণ আমাকে এমন একটা বেল্ট পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যার দাগ শরীর থেকে যায়নি।”
দৃশ্যটির শুটিং করতে গিয়ে পনেরোবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন শিল্পা। তার ভাষায়, “সেই সময় ভিএফএক্সের তেমন অপশন ছিল না। তাই নিজেকেই সবকিছু করতে হয়েছিল। আমি পড়ে যাচ্ছি এবং বাড়িটি কাঁপছে এটা দেখানোর জন্য এ ধরনের শুট করা হয়। কিন্তু নির্মাতারা ভেবেছিলেন দৃশ্যটি আরো ভালোভাবে শুট করা যেতে পারে। তাই দৃশ্যটির জন্য আমি প্রায় ১৫ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছি।”
শিল্পা মনে করেন, নব্বই দশকে কেবল ভালোবাসা দিয়ে সিনেমা নির্মিত হতো। তার মতে— “শুটিং শেষ করে প্রযোজনাটি দেখে মনে হয়, শটটি হিন্দি সিনেমার একটি আইকনিক মুহূর্ত। কারণ আপনি কোনো নায়ককে একজন নিষ্পাপ নায়িকাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলতে দেখেননি। শাহরুখ খান ছিলেন অসাধারণ। নব্বইয়ের দশকে সিনেমাগুলো নির্মিত হতো নিছক ভালোবাসা দিয়ে, অর্থ দিয়ে নয়।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’
ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।
একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’
এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।
মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’