নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৯৮ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৮০ টাকা রয়েছে। এছাড়া তাদের নামে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলায় থাকা ৫৯ একর জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান হিসাব অবরুদ্ধের আবেদনে বলেন, নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো.

আমিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্য ও সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাত ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে তাদের নামে ও প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। যেকোনো সময় এসব হিসাব থেকে উত্তোলনপূর্বক হস্থান্তর, রূপান্তর কিংবা স্থানান্তরিত হয়ে বিদেশে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মানিলন্ডরিং অপরাধে অনুসন্ধানের শেষ পর্যন্ত এসব অর্থের কোনোরূপ হস্তান্তর, রুপান্তর বা স্থানান্তর বন্ধ করা প্রয়োজন। তাই এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক। 

এছাড়া পৃথক আবেদনে দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিপুল পরিমাণের জমি জব্দের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত হিসাব অবরুদ্ধসহ জমি জব্দের আদেশ দেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট ক অবর দ ধ অবর দ ধ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনার ৩০ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ, দুদকের মামলা

জামালপুরে যমুনা সারকারখানার প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের সার আত্মসাতের ঘটনায় বরখাস্তকৃত বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ওয়ায়েছুর রহমানসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- যমুনা সারকারখানার সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. মাঈন উদ্দিন, উপসহকারী কারিগরী কর্মকর্তা/পালা বদল প্রধান মো. হারুন-অর-রশিদ, উপসহকারী কারিগরী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী বিক্রয় কর্মকর্তা বজলুর রশীদ খান ও অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) খোকন চন্দ্র দাস। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকালে জামালপুরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কিশোরগঞ্জ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকালে জামালপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়- আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৮ হাজার ৯১৬.৪৫ মেট্রিকটন সার আত্মসাৎ করে। যার সরকারি মূল্য ২৯ কোটি ৯৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫২.২৪ টাকা। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়। 

জামালপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা বলেন, ‘‘দুদক দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার পর মামলাটি দায়ের করেছে। এখন আমরা আদালতে মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনব।’’

ঢাকা/শোভন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যমুনার ৩০ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ, দুদকের মামলা
  • স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ৪