সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তন হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন স্থাপনার নাম। সেই ধারাবাহিকতায় ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স’। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) শুক্রবার এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়ামাটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিশু রিয়া গোপ। মাত্র ছয় বছর বয়সী রিয়া পরিবারের সঙ্গে বাসার ছাদে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন গুলিতে আহত হয় এবং পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এই করুণ ঘটনার স্মরণে ক্রীড়া স্থাপনার নামকরণ করা হয়েছে রিয়া গোপের নামে।

শুধু এই একটি স্থাপনাই নয়, আরও কয়েকটি ক্রীড়া স্থাপনার নামেও পরিবর্তন এনেছে সরকার। পল্টনের শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং ক্রীড়া কমপ্লেক্স এখন থেকে পরিচিত হবে ‘জাতীয় রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স’ নামে। একইভাবে রমনার শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স’।

এছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের বড় অডিটোরিয়ামের নাম থেকেও ‘শেখ কামাল’ নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তন’।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কমপ ল ক স

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়: ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও এর নামকরণে জনগণের বোধ ও বিশ্বাসকে সম্মান জানানোর দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলা বর্ষপঞ্জি ষোড়শ শতকে মোগল সম্রাট আকবরের সময় ফসল রোপণ ও কর আদায় সহজ করার উদ্দেশ্যে হিজরি সন অনুসরণ করে তৈরি করা হয়। গ্রামবাংলা ও শহরাঞ্চলে বিভিন্ন লোকসংগীত, হালখাতা, পিঠা-পুলি উৎসবের মাধ্যমে আবহমানকাল থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে আসছে, যা বাঙালি সংস্কৃতির চিরচেনা রূপ।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

ঢাবি শিক্ষার্থী ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কিন্তু মাত্র তিন দশক ধরে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মনগড়া ও নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতীক ব্যবহার করে সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য, উৎসব ও জাতিসত্তার ধর্মীয় বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করছে। বিশেষ করে, পতিত স্বৈরাচারের আমলে পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে যেভাবে কলকাতার উচ্চবর্ণের হিন্দু সংস্কৃতির বিস্তার ঘটানো হয়েছে, তা দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও অনুভূতিকে আঘাত করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বোধ  ও বিশ্বাসকে উপেক্ষা করে বাঙালি সংস্কৃতির নামে ভিনদেশি সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার নীলনকশা এঁকেছিল ফ্যাসিস্ট ও নতজানু পতিত সরকার। মঙ্গল শোভাযাত্রার আশ্রয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির স্বকীয়তা নষ্ট করে দেওয়ার চক্রান্ত ছিল স্পষ্ট।

মঙ্গল শোভাযাত্রার কোনো বৈজ্ঞানিক বা বিশ্বাসগত ভিত্তি নেই। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা, এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও এর নামকরণে জনগণের বোধ ও বিশ্বাসকে সম্মান জানানো হবে।

মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মুখোশ, পেঁচা ও নানা রকম মূর্তির প্রদর্শন, আসলে বাঙালি সংস্কৃতির নামে এক অপসংস্কৃতির প্রচার। প্রকৃতপক্ষে, এটি আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়। মঙ্গল কখনোই এসব প্রতীকের মাধ্যমে আসে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। পৌত্তলিকতার প্রসারের লক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে বৈশাখ উদযাপন দেশের সচেতন ছাত্র-জনতা রুখে দেবে।

মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না। মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে চাপিয়ে দেওয়া সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বিরত থেকে ইসলাম-বিধৌত বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে দেশবাসী ও সচেতন শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকারের নামে নামকরণ
  • চসিকের তিন স্থাপনা থেকে বাদ হাসিনা, রাসেলের নাম
  • মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়: ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
  • চট্টগ্রামে এক সড়ক ও দুটি স্থাপনা থেকে শেখ হাসিনা ও রাসেলের নাম বাদ