নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম,  তার পরিবারের সদস্য এবং তার সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও ৫৯ দশমিক ১৪৩৬৫ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

৭৩টি ব্যাংক  হিসাবে আছে, ৯৮ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৮০ টাকা আছে। জব্দ সবগুলো জমিই রাজশাহীর পবা থানার বীরগোয়ালীয়া মৌজার।

রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো.

আমিনুল ইসলাম,  তার পরিবারের সদস্য এবং তার সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও ৫৯ দশমিক ১৪৩৬৫ একর জমি জব্দের পৃথক দুটি আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন।”

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। 

ব্যাংক অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়েছে, নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর চেয়ারম্যান মো.আমিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা ও সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণপূর্ব আত্মসাত ও মানিলন্ডারিং এর অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে।

এসব হিসাবসমূহের অর্থ যেকোনো সময় উত্তোলনপূর্বক হস্তান্তর, রূপান্তর কিংবা স্থানান্তরিত হয়ে বিদেশে পাচার হওয়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় তাদের এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদনে বলা হয়, আমিনুল ইসলাম, পরিবারের সদস্যরা এবং সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণপূর্ক আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব স্থাবর সম্পদসমূহ যেকোনো ভাবে বিক্রয় বা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার এসব স্থাবর সম্পত্তিসমূহ অবিলম্বে ক্রোক করা আবশ্যক।

ঢাকা/মামুন/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র সদস য অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে ইনজুরিতে বাভুমা

দুই মাস পর অনুষ্ঠেয় আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ফাইনালের আগে আবারও চোটে পড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। কনুইয়ের পুরনো চোট ফিরে আসায় তিনি মিস করছেন ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ফাইনাল। যেটি আজ শুরু হয়েছে জোহানেসবার্গে।

বাভুমার লায়ন্স দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু তিনি জোহানেসবার্গে আসেননি। জানা গেছে, বুধবার রাতেই নিশ্চিত হয় যে কনুইয়ের অস্বস্তির কারণে তিনি ফাইনালে খেলতে পারছেন না। এই খবর লায়ন্স টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। কারণ, ম্যাচের আগের দিনই লায়ন্স অধিনায়ক ডোমিনিক হেনড্রিকস সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন যে, তিনি বাভুমার সঙ্গে খেলতে মুখিয়ে আছেন।

তবে বাভুমার কোন কনুইতে চোট লেগেছে কিংবা তা কতটা গুরুতর সেই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি।

আরো পড়ুন:

রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু বাংলাদেশের

১২৮ বছর পর ক্রিকেট ফিরছে অলিম্পিকে: ৬টি করে দল পুরুষ ও নারী বিভাগে

এর আগেও ২০২২ সালে বাম কনুই ভেঙে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন বাভুমা। ফলে ইংল্যান্ড সফরেও খেলতে পারেননি। এরপর আবুধাবিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দৌড়াতে গিয়ে আবারও কনুইতে ব্যথা পান। যে কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজও মিস করেন। পুরো ঘরোয়া মৌসুমে কোনো লাল বলের ম্যাচ খেলতে পারেননি এবং মানসিকভাবে অনেক চাপে ছিলেন। এক পর্যায়ে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতেও ভোগেন।

তবে সবকিছু পেছনে ফেলে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছেন বাভুমা। ঘরের মাঠে চারটি টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটি করে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও দলকে নিয়ে গেছেন সেমিফাইনালে। যদিও পুরো মৌসুমেই তার কনুইয়ে মোটা ব্যান্ডেজ দেখা গেছে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি বাভুমা। তবে লায়ন্স দলের শেষ লিগ ম্যাচে তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন। যদিও বৃষ্টিতে পুরো ম্যাচই ভেসে যায়। এরপর কেপটাউনে ফিরে যান এবং ফাইনালের জন্য ফেরার কথা থাকলেও ইনজুরির কারণে ফেরা হচ্ছে না তার।

দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে এখনো ফাইনালের আগে আট সপ্তাহের মতো সময় আছে। ১১ জুন, লন্ডনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার আর কোনো সিরিজ নেই। বেশ কিছু খেলোয়াড় আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকলেও বাভুমার কোনো বিদেশি লিগে খেলার চুক্তি নেই। তাই এই ফাইনালই ছিল তার জন্য মৌসুমের শেষ ম্যাচ। কিন্তু নতুন এই ইনজুরি আপাতত সে পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।

তবে আশার কথা, সম্প্রতি প্রকাশিত ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় নাম রয়েছে বাভুমার।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ