কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ধর্মসাগর দিঘিতে ধরা পড়ছে সাগরের কোড়াল মাছ। গত কয়েকবছর যাবত সাগরের কোরালের চাষ হচ্ছে এই দিঘিতে । 

সম্প্রতি এই দিঘিতে মাছ শিকার শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই জেলেদের জালে কোড়াল মাছ ধরা পরছে। স্থানীয়রা অনেকেই দিঘির পাড়ে এসে ভিড় জমাচ্ছেন এবং জালে আটক হওয়া এসব কোরাল মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। 

মাছ শিকারের জন্য বগুড়া সোনাতলা এলাকা থেকে এসেছে সাত জনের একটি দল। এই দলে থাকা জেলে লিটন চন্দ্র দাস জানান,  গত কয়েকদিনে অন্তত ১৫ টি কোড়াল মাছ পাওয়া গেছে। এগুলোর গড় ওজন ৫-৮ কেজি। প্রতিকেজি কোড়াল বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে। 

আরেক জেলে দুলাল মুন্সি জানান, শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল ৩ টায় ধর্মসাগর দিঘিতে জাল ফেলেছেন। তাদের জালে ৩ টা কোড়াল ধরা পড়ে। যার মধ্য ২টা কোরাল বিক্রি করেছেন ১৭ হাজার টাকায়।  একটার ওজন ৬ কেজি, আরেকটির ওজন হয়েছে ৫ কেজি ৪শ গ্রাম। আরেকটি মাছ বিক্রির জন্য রয়ে গেছে। 

দিঘিতে সাগরের কোড়াল চাষে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। দীঘির পশ্চিমপাড়ের বাসিন্দা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহিবুবুল হক ছোটন বলেন, “কোড়াল সাগরের মাছ। সুস্বাদু মাছ। এখন দিঘিতে চাষ হচ্ছে জেনে কিছুটা অবাক হলাম।” 

ধর্মসাগর দিঘিটি জেলা প্রশাসন ইজারা দেয়। বর্তমানে ইজারায় রয়েছেন ৪২ জন। তাদের একজন মো.

তারেকুল ইসলাম। তিনি জানান, বছর দুয়েক আগে এক জেলের পরামর্শে নোয়াখালীর চর আলেকজান্ডার থেকে ৩০০ কোড়াল মাছের পোনা আনেন। তখন এগুলোর ওজন ছিলো ২০০-২৫০ গ্রাম। দুই বছর পর একেকটি কোড়ালের ওজন হয়েছে ৫-৮ কেজি। 

ইজারাদার তারেক আরো জানান, মূলত যেসব দিঘিতে পর্যাপ্ত ছোট মাছ আছে সেখানে কোড়াল চাষ করা সম্ভব। ছোট মাছ খেয়েই বড় হয় কোড়াল।

ঢাকা/রুবেল/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওজন

এছাড়াও পড়ুন:

রেকর্ড, রেকর্ড ও রেকর্ড

রেকর্ড, রেকর্ড আর রেকর্ড!

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের শুরুটা হলো রেকর্ডময় এক জয়ে। মেয়েদের ওয়ানডেতে এ দিন বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন নিগার সুলতানা।

তাঁর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ পেয়েছে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এরপর থাইল্যান্ডকে ১৭৮ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জয়ের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।

২৭১ রান ডিফেন্ড করতে নেমে থাইল্যান্ডকে নিগারের দল অলআউট করেছে ৯৩ রানে। এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয়ের রেকর্ড ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডকে ১৫৪ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।

লাহোরে সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে ২৮২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল থাইল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে নাত্তইয়া বুচাথাম ও চানিডা সুত্তিরুয়াং তুলেছিল ৩৮ রান। তবে এরপরের গল্পটা বাংলাদেশের দুই স্পিনার ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস। দুজনেই নিয়েছেন ৫টি করে উইকেট।

শুরুটা করেন ফাহিমা। ওপেনার বুচাথামকে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট করেন ফাহিমা। আরেক চানিডাকেও আউট করেছেন ফাহিমা। টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান নান্নাপাট কনচারোয়েনকিকেও আউট করেছেন তিনি। মিডল অর্ডারে ধস নামিয়েছেন জান্নাতুল। ওপেনিং জুটিতে ৩৮ রানের পর থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এসেছে চতুর্থ উইকেট জুটিতে, ১৮ রানের। এর বাইরে কোনো জুটি দুই অঙ্কের ঘরেও যেতে পারেনি। ৫ উইকেট নিতে ফাহিমা খরচ করেছেন ২১ রান, জান্নাতুল ৭ রান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নিগারের ৮০ বলে ১০১ রানের ইনিংস এবং শারমিন আক্তারের অপরাজিত ৯৪ রানে ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭১ রান করেছে বাংলাদেশ। ৭৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন নিগার। তাঁর সেঞ্চুরিটি এই সংস্করণে নিগারের প্রথম ও বাংলাদেশের তৃতীয়। আগের দুটি সেঞ্চুরিই ফারজানা হকের।  ২০২৩ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ১৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ফারজানা হক, সেটিই এত দিন মেয়েদের ওয়ানডে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল। তাঁকে পেছনে ফেলে আজ মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন নিগার।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, আগামী রোববার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ