ঢাকা চেম্বার অব কমার্সে চাকরির সুযোগ
Published: 9th, March 2025 GMT
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আজ রোববার থেকেই আবেদন শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
পদের নাম: ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি (সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট) (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ)
পদসংখ্যা: ১টি
আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ/এমএসসি/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে অর্থনীতি, ফিন্যান্স, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন অধ্যয়নে অগ্রাধিকার পাবেন আবেদনকারী।
অন্যান্য যোগ্যতা: ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় লিখিত ও মৌখিক যোগাযোগে দক্ষতা। অর্থনীতি ও পরিসংখ্যানগত সফটওয়্যারে দক্ষতা।
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১০ বছর
বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর
আরও পড়ুনদেশে–বিদেশে পড়াশোনা শেষে ইন্টেলে চাকরি পেলেন হাসান উল বান্না, বেতন বছরে দুই কোটি০৬ মার্চ ২০২৫বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে
অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও আবেদনের বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ৮ এপ্রিল ২০২৫
আরও পড়ুন৪৮ জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, এইচএসসি পাস ১৮-৩৫ বয়সীর সুযোগ, ভাতা দৈনিক ২০০০৬ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়োগ দুর্নীতি-অর্থ আত্মসাৎ: সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে দুদকের হানা
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অভিযানে হাসপাতালে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য এবং অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক টিম।
হাসপাতালের পরিচালক ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির (প্রশাসন) সঙ্গে দেখা করে দুদক টিম।
আরো পড়ুন:
২০ কোটি টাকা আত্মসাতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নামে মামলা
সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের নৈশপ্রহরীর পকেটে মিলল ৪০ হাজার টাকা
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের জনবল নিয়োগ দুর্নীতিসংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন তারা।
সেখানে একটি প্রকল্পের আওতায় বিদেশে প্রশিক্ষণ করতে গিয়ে ৮৫ কর্মকর্তা আর ফিরে না আসার তথ্য পেয়েছে দুদক টিম।
অভিযানে হাসপাতালের অভ্যন্তরে বিদ্যমান একটি ব্যাংক, একটি ফার্মেসি ও দুটি ক্যান্টিন পরিচালনায় অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান শেষে দুদক টিম জানায়, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি জানান, প্রকল্পের অর্থায়নে ১৫৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ শেষে এই প্রতিষ্ঠানে অন্তত পাঁচ বছর চাকরি করবেন- এমন শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো হয়। তবে প্রশিক্ষণ শেষে ৮৫ জন কর্মকর্তা হাসপাতালে যোগ দেননি।
অত্যন্ত অপরিকল্পিতভাবে এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে, কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন- এমন বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানোর তথ্য পেয়েছে অভিযানে যাওয়া দুদক কর্মকর্তারা। অপ্রয়োজনী প্রশিক্ষণে পাঠিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
সুপার স্পেপেশালাইজড হাসাপাতাল প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ করে কমিশন কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
২০২৩ সালের ৩ জুলাই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের শূন্য পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়; সেখানে ৫২টি পদে ৫৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়।
পদগুলোর জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, কনসালট্যান্ট পদে ৯৬ জন, মেডিকেল অফিসার (মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, অর্থোপেডিকস) পদে ৬০ জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ২২৫ জনবল নেওয়া হবে। বাকি পদগুলোতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ), পরিচালক (আইটি), টেকনিশিয়ান, টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল।
এসব পদে নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদক টিম।
স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার সম্পত্তি আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ
স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার সম্পত্তি আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
বৃহস্পতিবার দুদকের পৃথক একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
বৃহস্পতিবার দুদকের পৃথক একটি এনফোর্সমেন্ট টিম স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান শেষে দুদক টিম জানায়, প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি একটি নিবন্ধিত, অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, যা সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন নং-২১৯/১৯৬২ অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে।
দুদক জানতে পেরেছে, এতিমখানাটি পরিচালনা করে কার্যকরী পরিষদ, যার সভাপতির পদে নবাব পরিবারের একজন বংশধর থাকেন। বর্তমানে কার্যনির্বাহী পরিষদ না থাকায় ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর একজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়, যিনি পরে পদত্যাগ করেন। গত মাসে সেখানে একজন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।
নবাব বংশের দাবিদার খাজা আলী মাদানীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি নতুনভাবে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম অরফানেজ সোসাইটি নামে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তারা নিবন্ধন পান।
একই প্রতিষ্ঠান সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত ও প্রশাসক নিযুক্ত থাকার পরও নতুন নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে দুদকের আভিযানিক টিম।
অভিযানের সময় অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে দুদক টিম। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কমিশনে একটি পূর্ণাঙ্গ এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন দাখিল করবে তারা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল