নির্মাতা এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমাটি ঈদে মুক্তির ঘোষণা এসেছিল আগেই, এবার  এলো বিশ্বব্যাপী মুক্তির ঘোষণা।  ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সিনেমার প্রচার-প্রচারণা।  ঈদুল ফিতরে দেশে মুক্তি পর ২৫ এপ্রিল বিদেশে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। বিদেশে সিনেমাটির পরিবেশনা করবে যথক্রমে  স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো, বঙ্গজ, রিভেরিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। 

 সোমবার জংলি সিনেমার নতুন পোস্টার প্রকাশ করে দেশের বাইরে মুক্তির তথ্য জানানো হয়।  বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মুক্তির বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দ্য অভি কথাচিত্রের কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি জানান, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ইউকে, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত, বাহরাইন, কাতার এবং ওমানে সিনেমাটির মুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে।

জংলি সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি প্রমুখ। ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমার ‘জনম জনম’ শিরোনামের গান। প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল। গেয়েছেন তাহসান খান ও আতিয়া আনিসা। ভিডিওতে দেখা গেল সিয়াম ও দীঘির রোমান্স। সিনেমার ট্রিজার মুক্তির আগে প্রি-টিজেও দেখা গেছে এই দুজনকে। পোস্টার ছাড়া এখনো দেখা মেলেনি এ সিনেমার আরেক নায়িকা শবনম বুবলীর।

পোস্টার, গান, প্রি-টিজ দেখে ধারণা করা যায়, সিয়াম ও দীঘির মধ্যে থাকে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিকার সঙ্গে ঘটে যাওয়া কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে বদলে যায় সিয়ামের জীবন। হয়ে ওঠে জংলি। এই কারণেই হয়তো প্রি-টিজ শেয়ার করে ফেসবুকে লেখা হয়েছে, ‘ভালো তো সবাই বাসে। কিন্তু কেউ ভালোবেসে জংলি হয় না!’সে সময় তার জীবনে আগমন হয় বুবলীর।

পর্দায় জংলি হয়ে উঠতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি সিয়াম। চরিত্রটি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে প্রায় সাত মাস চুল-দাড়ি কাটেননি তিনি। শুটিংয়ের পুরোটা সময় চরিত্রের মাঝেই যাপন করেছেন সিয়াম।

জংলির মুক্তির কথা ছিল গত কোরবানির ঈদের সময়। ঘোষণা এসেছিল গত রোজার ঈদে। তবে শেষ মুহূর্তে মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নির্মাতা। এম রাহিম বলেন, ‘তাড়াহুড়া করে কাজ শেষ করে কোয়ালিটির সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতে চাইনি। তাই সে সময় রিলিজ দেওয়া হয়নি। আমি এবং আমার টিম চেয়েছিলাম, কোনো এক ফেস্টিভ্যালে যেন জংলি সিনেমাটি রিলিজ হয়। আমার বিশ্বাস প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি দেখার পর সব দর্শক জংলিকে আপন করে নেবে।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

অবন্তিকার মৃত বাবাকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত বাবাকে কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এরই মধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

মঙ্গলবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৩৫ জন অধ্যাপককে বিভিন্ন কলেজে পদায়ন করা হয়। পদায়নকৃতদের মধ্যে অবন্তিকার বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনকে কুড়িগ্রামের মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।

তিনটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ জনের তালিকায় ১৩ নম্বরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে  জামাল উদ্দীনকে পদায়ন করা হয়।  

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মির্জা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মো. জামাল উদ্দীন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম সমকালকে বলেন, তালিকা প্রকাশের পরই প্রজ্ঞাপনটি আমার হাতে আসে। অবনন্তিকার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। শিক্ষকতা ছাড়াও অন্য ৭টি সংস্থায় চাকরির সুযোগ পেয়েও তিনি শিক্ষকতাকে বেছে নেন। জীবনে তোষামোদি-তদবির করতেন না বলেই অধ্যক্ষ পদে তাকে পদায়ন করা হয়নি। এটা তার জন্য দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।

তিনি আরও বলেন, তিনি (জামাল উদ্দীন) মারা যাওয়ার প্রায় ২ মাস পর একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পদোন্নতির বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তখন আমি বলেছিলাম যার পদোন্নতির জন্য তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে, তিনি মারা গেছেন। কিন্তু এরপরও হয়তো ভুলে আমার মৃত স্বামীকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

আক্ষেপ করে তাহমিনা বলেন, আমার স্বামী তার প্রাপ্য সুসংবাদ দেখে যেতে পারেননি। মেয়েও তার শিক্ষা জীবনের সুখবরটি জানতে পারেনি। গত বছরের ১৯ মে অবন্তিকার স্নাতকের (এলএলবি অনার্স) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার অর্জন করেছিল।

গত বছরের ১৫ মার্চ রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা।ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর (সাময়িক বরখাস্ত) দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে হয়রানি ও উৎপীড়নের নানা অভিযোগ করেন। এতে আত্মহত্যার প্ররোচনার প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে উভয় জামিনে মুক্ত। তবে এরই মধ্যে জবি প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে জড়িতদের বিরুদ্ধে জবির বিধি অনুসারে শাস্তি কার্যকরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জবি সূত্রে জানা গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অবন্তিকার মৃত বাবাকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন