ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে দলীয় সংগ্রহে চারশ রানের দেখা পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। আজ (৯ মার্চ, ২০২৫) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিউনের বিপক্ষে তাদের স্কোর ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৪২২। এই ম্যাচে ওপেনিং করতে নামা জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাঈম শেখ করেছেন বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি, ছুঁয়েছেন বেশ কিছু মাইলফলক।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এতদিন বাংলাদেশে মাটিতে সর্বোচ্চ রান ছিল ভারত জাতীয় দলের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করেছিল ভারতীয়রা। আজ মিরপুরে সেই রান অতিক্রম করে গেল প্রাইম ব্যাংক।
এদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান আবাহনীর। ২০১৭ সালে বিকেসপিতে প্রাইম ধলেশ্বরের বিপক্ষে ৪ উইকেটের ৩৯৩ রান করেছিল আকাশী-নীলরা। তবে সেই দুটো রেকর্ডই এখন অতীত।
আরো পড়ুন:
ঈদের আগে ডিপিএলে খেলতে পারবেন না মুশফিক
নারী ডিপিএলে জ্যোতির সেঞ্চুরি
তবে এর আগেও দুবার চারশর কাছাকাছি গিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। ২০২২ সালে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮৮ রানে থামে তাদের ইনিংস। আর গত বছর ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৩৮০ রান করে ক্লাবটি।
শেরে বাংলায় টস জিতে প্ক্যারথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাদার্স। সিদ্ধান্তটি যে ভুল ছিল, সেটা প্রমাণ করেন নাইম। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেন। মাত্র ১২৫ বলে ১৭৬ রান করেন এই ওপেনার। ১৮ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
বিস্তারিত আসছে.
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
৮ মাসে বাংলাদেশের ৪৭তম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হওয়ার দাবিটি ভুয়া: রিউমর স্ক্যানার
‘মাত্র ৮ মাসে বাংলাদেশ ৪৭তম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে’ এবং ‘৪০তম থেকে ৭ পিছিয়ে বাংলাদেশ ৪৭তম ক্ষমতাধর দেশ’ এমন দুটি দাবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে ছড়িয়ে পড়া দুটি দাবিই ভুয়া বলছে তথ্য যাচাই বা ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। রিমউর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে র্যাঙ্কিংটি ২০২৪ সালের। অর্থাৎ যে সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে বলছে, যে র্যাঙ্কিং নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটি আজই বা এ বছর প্রকাশ হয়নি। তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। মূলত জরিপের তথ্য ব্যবহার করে র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়। এই র্যাঙ্কিংয়ের জরিপ হয়েছে ২০২৪ সালের ২২ মার্চ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত। অর্থাৎ সর্বশেষ যে র্যাঙ্কিং ইউএস নিউজের ওয়েবসাইটে রয়েছে, তা বাংলাদেশের বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হওয়া জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়েছিল।
দাবিগুলোর সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ইউএস নিউজ নামে একটি ওয়েবসাইটের নাম। ইউএস নিউজ মূলত মার্কিন মিডিয়া কোম্পানি, যারা সংবাদের পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বিভিন্ন ক্যাটাগরির র্যাঙ্কিং ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে আসছে।
রিউমর স্ক্যানার ইউএস নিউজের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সময়ের আর্কাইভ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, সাইটটি প্রতিবছরের সেপ্টেম্বরে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে এবং এ–সংক্রান্ত জরিপ হয় সে বছরের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে।
রিমউর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে ২০২৩ সালের র্যাঙ্কিংটি প্রকাশিত হয় সে বছরের ৬ সেপ্টেম্বর (জরিপ হয় সে বছরের ১৭ মার্চ থেকে ১২ জুন)। ওই বছর বাংলাদেশের অবস্থান পাওয়ারে ৪০তম, ওভারঅল: ৬৯তম (মোট ৮৭ দেশের মধ্যে)। একইভাবে ২০২২ সালেরটি প্রকাশিত হয় সে বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর (জরিপ হয় সে বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে ১৩ জুলাই)। ওই বছর বাংলাদেশের অবস্থান পাওয়ারে ৪৪তম, ওভারঅল: ৭১তম (মোট ৮৫ দেশের মধ্যে)।
এসব তথ্য বিশ্লেষণ থেকে রিউমর স্ক্যানার নিশ্চিত হয়েছে যে ২০২৫ সালের র্যাঙ্কিং এখনো প্রকাশ করেনি ইউএস নিউজ। রেওয়াজ অনুযায়ী তা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হবে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১২৩তম স্থান থেকে উন্নীত হয়ে বর্তমানে ৪৭তম অবস্থানে এসেছে। তবে ওয়েবসাইটটির আর্কাইভ বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, বাংলাদেশ এই র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয় ২০২২ সালে। ওই বছর থেকে পরবর্তী সময়গুলোতে র্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত দেশের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে: ২০২২ সালে ৮৫টি, ২০২৩ সালে ৮৭টি এবং ২০২৪ সালে ৮৯টি। এ পর্যন্ত কোনো বছরেই র্যাঙ্কিংয়ে ১২৩টি দেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, ফলে বাংলাদেশের কখনো ১২৩তম অবস্থানে থাকার দাবি বাস্তবসম্মত নয়।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের এই র্যাঙ্কিং নিয়ে হঠাৎ আলোচনা শুরুর প্রেক্ষাপটও জানার চেষ্টা করেছে রিউমর স্ক্যানার। ৬ এপ্রিল রাতে গ্লোবাল স্ট্যাস্টিসটিক নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইউএস নিউজকে সূত্র দেখিয়ে প্রথম এ–সংক্রান্ত পোস্টটি করা হয়। এরপরই বিষয়টি আলোচনায় আসে।