গ্যাসের লিকেজে আগুন: শিশু সুমাইয়ার পর মারা গেলেন মা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
Published: 9th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের লিকেজের আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশু সুমাইয়ার পর তার মা রূপালী আক্তার (২০) মারা গেছেন। আজ রোববার ভোরে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দগ্ধ আটজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হলো।
নিহত রূপালী পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালপুকুল গ্রামে। এর আগে গতকাল শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রূপালী আক্তারের দেড় বছরের মেয়ে সুমাইয়া ও প্রতিবেশী মো.
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত রূপালী আক্তারের শরীরের ৩৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন পাঁচজনের মধ্যে শিশু দুজনের অবস্থা একটু ভালো, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ সোহাগ আলীর বড় ভাই রুবেল আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাতিজা সুমাইয়া মৃত্যুর পর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রূপালী আক্তারও মারা গেছেন। তাঁর ভাইয়ের অবস্থাও ভালো নয়।
আরও পড়ুনসিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু০৮ মার্চ ২০২৫গত সোমবার গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকেশ্বরী শান্তিবাগ এলাকার একটি বাড়িতে গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির দুটি কক্ষে আগুন ধরে যায়। ভাড়াটে দুটি পরিবারের শিশু-নারীসহ আটজন দগ্ধ হন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত ৮
ইয়েমেনে আবারো বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হুতি-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী সানায় মার্কিন হামলায় নারী ও শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সানার উত্তরাঞ্চলের বানি আল-হারিথ জেলার থাকবান এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত আটজন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের খুঁজে বের করার জন্য দলগুলো কাজ করছে।
হুতি মিডিয়া আউটলেটটি আরো জানিয়েছে, রোববার রাতভর দেশটির আমরান ও সা’দা প্রদেশেও বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরো পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
ক্রিমিয়া ছাড়তে নারাজ ইউক্রেন, জেলেনস্কির কড়া সমালোচনায় ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী গত ১৫ মার্চ থেকে হুতিদের ওপর বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করার লক্ষ্যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে এই অভিযান বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ১৫ মার্চ ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে টানা বিমান ও নৌ হামলা শুরু করার পর থেকে তারা ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে সাম্প্রতিক অভিযানের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড বলেছে, তারা ‘শত শত হুতি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুতি নেতাকে হত্যা করেছে’।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা যে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে অস্ত্রের মজুদ এবং উৎপাদন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে তারা বলেছে, চলমান অভিযান সম্পর্কে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ’ করা হবে না।
এদিকে হুতি গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে এবং তাদের বাহিনী হামলার জবাব দেবে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। উত্তর ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।
এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আবারো হুতিদের ওপর হামলা জোরদার করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ফিরোজ