ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রোববার রেকর্ড গড়ল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের দুর্দান্ত ইনিংসে প্রথমবারের মতো দলটি চারশ’ রানের গণ্ডি পেরিয়ে ইতিহাস গড়েছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৪২২ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক—যা ডিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

ব্যক্তিগতভাবে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন নাঈম। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে ১৭৬ রান করে থামতে হয় এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৮টি চার ও ৮টি ছক্কায়।

ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। শুরুতেই সাব্বির হোসেনের সঙ্গে জুটি গড়ে ইনিংসের ভিত গড়ে দেন নাঈম। এরপর একের পর এক সঙ্গী বদল হলেও থেমে থাকেননি তিনি। মাত্র ৮০ বলে সেঞ্চুরি এবং ১০৬ বলে দেড়শো রান পূর্ণ করেন। ডাবল সেঞ্চুরি যখন চোখের সামনে, তখন কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে।

ডিপিএলে এতদিন সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড ছিল আবাহনীর দখলে, ২০১৮ সালে ৩৯৩ রান। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। এদিকে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটি রয়েছে সৌম্য সরকারের। ২০১৯ সালে আবাহনীর হয়ে ধানমন্ডির বিপক্ষে করেছিলেন ২০৮* রান। নাঈম সেই রেকর্ড ছুঁতে না পারলেও নিজের ইনিংস দিয়ে রেকর্ডবইয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ‘শিশু ধর্ষণে’ মীমাংসার সালিস থেকে অভিযুক্ত বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

কুমিল্লা লালমাইয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। পরে গ্রামের কয়েকজন মাতবর ঘটনাটি মীমাংসার জন্য সালিসে আয়োজন করেন। সেখানে ধর্ষণের ঘটনায় ওই বৃদ্ধকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। তবে সালিসের এক পর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে। 

জানা যায়, শনিবার রাত ১০টায় লালমাইয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়িতে সালিস বসে। সেখানে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে পৌঁছে শিশুটির মুখে ধর্ষণের বর্ণনা শুনে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে আটক করে। পরে রোববার বিকেলে শিশুটির মা বাদী হয়ে ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে লালমাই থানায় মামলা দায়ের করেন।

শিশুটির চাচা বলেন, নির্যাতিত শিশুটির ধর্ষণের অভিযোগের বর্ণনা শুনে গ্রামের মাতবরেরা অভিযুক্ত বৃদ্ধকে সালিস বৈঠকে নিয়ে আসতে বললে গতকাল রাত ১০টার দিকে গ্রামের কয়েকজন ছেলে তাকে একটি চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। বৈঠকে দুই পক্ষের লোকজন একমত হয়ে ওই বৃদ্ধকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় তার পক্ষে দুই হাজার টাকা জমা দিয়ে রায় কার্যকরও করা হয়েছিল। খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে এলে সালিস বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়, পরে পুলিশও আসে। অভিযোগের বর্ণনা শুনে তারা বৃদ্ধকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। 

সালিসে উপস্থিত ফজলুর রহমান মিন্টু বলেন, গ্রামের গণ্যমান্যদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে শনিবার রাতে সালিস বৈঠক হয়েছে। শিশুটির ওষুধ খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা রায় করেছিল সালিসের বিচারকরা। বৃদ্ধের পক্ষে মাতবরের কাছে ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে রায়ও কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু রাত ২টায় সেনাবাহিনীর টিম গিয়ে বৃদ্ধকে আটক করে নিয়ে গেলে সালিস বৈঠক সমাপ্ত হয়।

স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই রেদোয়ান হোসেন বলেন, লালমাই আর্মি ক্যাম্পের একটি টিম যাওয়ার পর খবর পেয়ে আমরা শিশুটির বাড়িতে যাই। ভিকটিম ও তার পরিবারের কথা শুনে আমরা বৃদ্ধকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। 

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিশুটির মা মামলা করেছেন। এ মামলায় ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিম ওই শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ