পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
Published: 9th, March 2025 GMT
পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ২.
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বুধবার (৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ মে। আর ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ এপ্রিল।
আলোচিত বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.৭৯ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৪.৯৭ টাকা।
গত ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪৪.৬৫ টাকা।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায়, মার্চে প্রবৃদ্ধি ১১.৪৪%: ইপিবির তথ্য
প্রবাসী আয়ের মতো দেশের পণ্য রপ্তানি খাতও গত মাসে ভালো করেছে। মার্চ মাসে দেশ থেকে মোট ৪২৫ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল সোমবার রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস জুলাই-মার্চে মোট ৩ হাজার ৭১৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
একাধিক রপ্তানিকারক প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়। কারণ, ঈদে ৭-১০ দিনের লম্বা ছুটি থাকে। ফলে বাড়তি কাজ করে ছুটির আগেই অনেক ক্রয়াদেশের পণ্য জাহাজীকরণ হয়ে থাকে।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই খাত হচ্ছে প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানি। গত মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৩২৯ কোটি ডলার, যা এক মাসের হিসাবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কয়েক মাস ধরেই প্রবাসী আয় বাড়ছে। পাশাপাশি পণ্য রপ্তানিও ইতিবাচক ধারায় থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৬২ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম মান ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হচ্ছে ২ হাজার ৪৬ কোটি ডলার।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মাসে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়াবিহীন জুতা, প্লাস্টিক, প্রকৌশল পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে।
পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় থাকলেও খাতটি ঘিরে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানিতে পাল্টা শুল্ক বসিয়েছেন। বাংলাদেশি পণ্যে আরোপ করেছেন ৩৭ শতাংশ শুল্ক।
পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় বাজার। সর্বশেষ ২০২৩–২৪ অর্থবছরে দেশ থেকে ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে ৭৫৯ কোটি ডলারের পণ্যের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই বাজারে যাঁরা তৈরি পোশাক, ক্যাপ, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি করেন, তাঁরা এখন উদ্বেগের মধ্যে আছেন। কারণ, পাল্টা শুল্কের কারণে ইতিমধ্যে মার্কিন ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চলমান ক্রয়াদেশ স্থগিত করতে শুরু করেছে। বাড়তি শুল্কের ক্ষতি পোষাতে মূল্যছাড় দাবি করছে কেউ কেউ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশ থেকে ৩ হাজার ২৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। মার্চে ৩৪৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। জুলাই–মার্চ ৯ মাসে এই পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৮৫ কোটি ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। শুধু মার্চে ৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এতে প্রবৃদ্ধি হয় ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এ ছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮১ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। তবে মার্চ মাসে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।
আলোচ্য ৯ মাসে ৬৮ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। গত মার্চে হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯ কোটি ৯৬ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয় ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এদিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি এখনো ঘুরে দাঁড়ায়নি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৬৩ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া আলোচ্য সময়ে ৪১ কোটি ডলারের চামড়াবিহীন জুতা, ৪০ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য, ৩৪ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ২৩ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।