ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে লন্ডনের বিগ বেন টাওয়ারে ওঠা সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। খবর রয়টার্সের।

রবিবার (৯ মার্চ) ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তি শনিবার (৮ মার্চ) ভোরে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট বিগ বেনের এলিজাবেথ টাওয়ারের কয়েক মিটার উপরে উঠে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। ১৬ ঘণ্টা পর ওই ব্যক্তি নেমে এসেছেন এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ওই ব্যক্তি ফিলিস্তিনের একটি পতাকা ওড়াচ্ছিলেন এবং ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

আরো পড়ুন:

লন্ডনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা

ইউক্রেনে এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যের

মেট্রোপলিটান পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জীবনের ঝুঁকি হ্রাস করতে লন্ডন দমকল বাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত এই ঘটনাটির সমাধান করা হয়েছে।

স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরুরি সহায়তা দল একটি ক্রেন ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করে। এর আগে তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজের মর্জি মোতাবেক নিচে নামবেন। ১৬ ঘণ্টা পর তিনি নেমে আসেন।

মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন মুখপাত্র এর আগে বলেছিলেন যে, শনিবার সকাল ৭ টা ২৪ মিনিটে তারা জানতে পারেন যে একজন ব্যক্তি পার্লামেন্ট ভবনের এলিজাবেথ টাওয়ারে আরোহণ করছেন।

এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে শনিবার সকালে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে পার্লামেন্টে দর্শনার্থী পরিদর্শনও বাতিল করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে আটকের পর সব রাস্তা পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’

ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।

‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।

একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।

মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’

এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।

মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মায়ের মৃত্যুর তিন দিন পর কিশোরীকে ধর্ষণ, বাবা গ্রেপ্তার
  • ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পীর প্রতিবাদ
  • রোজার দিনে কড়া রোদে দীর্ঘ অপেক্ষা
  • ‘ধর্ষককে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করুন’
  • রূপগঞ্জে প্রবাসীদের গাড়ীতে ডাকাতি: ২ পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৫
  • আমার কোমরে সেই দাগটা ১০ বছর ছিল: শিল্পা
  • ট্রাম্পকে যারা ভোট দিয়েছিলেন চাকরিচ্যুত করলেন তাদেরও
  • যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স কত দূর যেতে পারেন
  • ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’