টাঙ্গাইল শহরে ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের ছয়তলা বাড়িটি দখলমুক্ত করা হয়েছে। শনিবার মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামের ছাত্র প্রতিনিধি তালা ভেঙে শহরের ছোট কালীবাড়ি রোডের বাড়িতে ‌‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তিদের এনে রাখেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ জোয়াহেরুল ইসলামের বাসভবনে যায়। এরপর ওই বাড়ি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের বের করে সন্তোষ বড়ইতলা এলাকার আগের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফ বলেন, ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সমাজসেবাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পুনর্বাসন করা হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সপরিবারে আত্মগোপনে জোয়াহেরুল ইসলাম। এর মধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে জোয়াহেরের বাড়িটি দখল করে আশ্রম করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, সকালে মিষ্টি তালা ভেঙে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের মানসিক ভারসাম্যহীন ২০ ব্যক্তিকে নিয়ে জোয়াহেরের বাড়িতে প্রবেশ করেন। জানতে চাইলে মিষ্টি বলেন, এটি জবরদখল নয়। কারণ কোনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যবহারে বাড়িটি নেওয়া হয়নি। ফেসবুকে আগেই আওয়ামী লীগের সব নেতার বাড়িতে পাগলদের জন্য ‘আশ্রম’ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার ছয়তলা ভবনে ২০ পাগল রাখা হয়েছে। এ কাজে তাঁকে অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধি সমর্থন দিয়েছেন বলে জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের আহ্বায়ক আল আমিন জানান, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক ছাত্র প্রতিনিধি আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে পাগলের আশ্রম করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে তারা এটি সমর্থন করেন না। আল আমিন বলেন, ‘মিষ্টি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিলেন। তাই বলে তিনি বিশেষ সুবিধা নেবেন, তা কাম্য নয়। এটি ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনার সঙ্গে যায় না। তা ছাড়া বর্তমানে কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিতে পারবেন না। বাড়ি দখলের মতো অপরাধ করলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে প্রথমে মিষ্টি নামের এক মেয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ড় দখল দখল জ য় হ র ল ইসল ম ল আম ন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

দোহারে জমি নিয়ে বিরোধে বসতবাড়িতে হামলা, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

ঢাকার দোহারে জমিসংক্রান্ত ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটায় উপজেলার মুন্সিকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুতারপাড়া ইউনিয়নের মুন্সীকান্দা মৌজায় আবদুর রব মোল্লা প্রায় ৩০ বছর ১২ শতাংশ খাসজমি দখল করে আসছিলেন। গত বছর স্থানীয় শেখ চুন্নু মিয়াসহ ৯ জন বাদী হয়ে ওই জমি দখলমুক্ত করতে একটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন জমি দখলমুক্ত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকার রাতে আবদুল কামাল, আবু কালাম, রাহিম, সুমন মোল্লা, রিফাত, আসলামসহ ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শেখ চুন্নু মিয়ার বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

ভুক্তভোগী চুন্নু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন বলেন, হামলাকারীরা ঘরের আলমারি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় তিনি রব মোল্লাসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে জানতে অভিযুক্ত আবদুল কামালের সঙ্গে যোগযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোন ধরেননি। তাঁর স্ত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, ‘কামাল এসব করেনি। তারা নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়ে মামলার ষড়যন্ত্র করছে।’

দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ওই ঘটনায় চুন্নু মিয়ার ছেলে জাকির বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দখলমুক্ত হলো সাবেক এমপি জোয়াহেরুলের সেই বাড়িটি 
  • টাঙ্গাইলে দখলমুক্ত করা হলো সাবেক এমপির বাসা
  • টাঙ্গাইলে সাবেক এমপির বাড়ি দখল করে আশ্রম
  • দোহারে জমি নিয়ে বিরোধে বসতবাড়িতে হামলা, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট