রমজান উপলক্ষে ভাড়ায় ছাড় দিচ্ছেন কুড়িগ্রামের অটোরিকশাচালক সাইদুল
Published: 9th, March 2025 GMT
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ভাড়া থেকে ৫ থেকে ১০ টাকা কম নিচ্ছেন অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম। রোজার মাসে তাঁর এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করছেন সবাই।
সাইদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার রুপার খামার এলাকার বাসিন্দা। পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। পাঁচ বছর ধরে তিনি কুড়িগ্রাম থেকে চিলমারী ৩০ কিলোমিটার পথে অটোরিকশা চালান। সেই আয়েই চলে তাঁর সংসার। গত দুই বছর ধরে তিনি রমজান মাসে যাত্রীদের জন্য এই বিশেষ ছাড় দিয়ে আসছেন।
খবরে দেখেছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ছাড় দেওয়া হয়; সে থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানালেন সাইদুল। বড় কিছু করার সামর্থ্য তাঁর নেই, তবে অটোরিকশাচালক হিসেবে তিনি ভাড়াটুকুতে ছাড় দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। তাই সেটাই করেছেন। তিনি নির্ধারিত ভাড়া থেকে ৫ টাকা, আবার কখনো ১০ টাকা কম নেন জানিয়ে বললেন, পুরো রমজানেই এটা তিনি চালিয়ে যাবেন।
উলিপুর-চিলমারী পথের নিয়মিত যাত্রী স্কুলশিক্ষক জরীফ উদ্দীন বলেন, রমজানে সাইদুল ইসলামের উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি সমাজের জন্য একটি দারুণ দৃষ্টান্ত।
বালাচর নাছিরিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বলেন, রমজান মানুষকে আরও দয়ালু ও মানবিক হতে শেখায়। সাইদুল তাঁর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর দেখাদেখি আরও অনেকে রোজাদারদের সহায়তায় এগিয়ে আসবেন বলে আশা তাঁর।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে
দেশের নারীরা দুঃসময় পার করছে। বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বিবৃতিতে এই বক্তব্য উঠে এসেছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য– ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
দিবসটিকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছিল, গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী।’
এদিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন সকালে জুলাই অভ্যুত্থানে নারী সহযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। দাবির মধ্যে রয়েছে, নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধ; সব প্রতিষ্ঠান, কমিটি, দল ও উপাসনালয়ে নারীর সমান উপস্থিতি; মৌলবাদী ও উগ্রবাদী সংস্কৃতির বিস্তার রোধ; নারীর জীবন ও অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রচলিত আইন সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হবে।
ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুবিধা নিশ্চিতে আইন করার দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তব্য দেন মো. ইলিয়াস, রোজিনা আক্তার সুমি, ফরিদ উদ্দীন, আমরিন হোসাইন অ্যানি, ইউসুফ শেখ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম। তারা জানান, সংস্কার কমিশনের শ্রম আইন সংশোধনের খসড়া শ্রমিকবান্ধব নয়। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা পল্টন মোড় ঘুরে এসে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ হয়।
নারীর ওপর সহিংসতা, শোষণ-নির্যাতন বন্ধ এবং নিপীড়কদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা এবং প্রগতিশীল সমাজ দুঃসময় পার করছে। নারীবিদ্বেষ ও সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে।