ভারত ও নিউ জিল্যান্ড প্রস্তুত রবিবারের (৯ মার্চ, ২০২৫) মহারণের জন্য। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত দুটি দলই। একটা জমজম্যাট ফাইনালের জন্য সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরাই প্রস্তুত। তবে কত খানি প্রস্তুত দুবাই?

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বৃষ্টির বাগড়া নতুন না। ২০০২ সালের ফাইনালে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। কলম্বোয় রিজার্ভ ডে’ও বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও ভারতকে সেবার যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। আজ কি দুবাইয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, যদি বৃষ্টি হয় তাহলে রিজার্চ ডে কি আছে? দুবাইয়ের আবহাওয়া কেমন থাকবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সব প্রশ্নের উত্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের আজকের তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মেঘাছন্ন থাকতে পারে পরিবেশ। আজ দুবাইয়ে মেঘের আচ্ছাদন থাকবে ৬৪ শতাংশ। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আছে সুখবর। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মাত্র ১ শতাংশ সম্ভাবনা আছে বৃষ্টির।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সামগ্রিক পারফরম্যান্স

ভারতীয় ড্রেসিংরুমে রোহিতের অবসর নিয়ে ‘আলোচনা নেই’

তবে যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ফাইনালে রিজার্ভ ডে আছে। যদি ম্যাচ শুরুর পর বৃষ্টিতে খেলা আর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হলো না। তাহলে আজ বৃষ্টি নামার আগে খেলা যেখানে শেষ হবে, ঠিক সেখান থেকেই আগামীকাল (১০ মার্চ, ২০২৫) শুরু হবে। আগামীকালও যদি বৃষ্টিতে ভেসে যায়, তাহলে ২০০২ সালেরমতো দুদলকে ভারত যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল নিয়ে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা হয়েছে, “রিজার্ভ ডে নেই—এমনটা ভেবে নিয়েই মাঠ, আবহাওয়া ও আলো–সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার লক্ষ্য থাকবে আম্পায়ারদের। যেন নির্ধারিত দিনে যতটা সম্ভব, খেলা এগিয়ে নেওয়া যায়। ফলের জন্য প্রতিটি দলকেই অন্তত ২৫ ওভার করে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেতে হবে। নির্ধারিত দিনে ফলের জন্য ন্যূনতম ওভার সংখ্যা (২৫ ওভার) বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যদি না করা যায়, তাহলে সেদিনের জন্য খেলা পরিত্যক্ত হবে। ম্যাচটি পুনরায় খেলতে কিংবা শেষ করতে রিজার্ভ ডেতে খেলা হবে।”

রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত এবারের আসরে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। যদিও আইসিসি থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে দলটি। আসরের সব ম্যাচই খেলেছে একই ভেন্যুতে, প্রইয়োজন পড়েনি কোন ভ্রমণের। এখন পর্যন্ত অপরাজিত ব্লুজরা।

অন্যদিকে, মিচেল সান্টনার নেতৃত্বাধীন নিউ জিল্যান্ডও চমকপ্রদ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। যদিও তারা গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল। তবে সেমি ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দাপুটে পারফরম্যান্স করে ফাইনালে ওঠে।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বছরজুড়ে দেশের মাঠে বাজে পারফরম্যান্স

, জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা দল 

২০২৩ বিশ্বকাপের পরপর দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি সিরিজ খেলে লাল সবুজের দল। জয় তো দূরে থাক ড্র'ও করতে পারেনি টাইগাররা।

এবার বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। সিলেট ও চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দলটি। প্রথম টেস্টের জন্য মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে শক্তিশালী দল গঠন করেছে বিসিবি। ইনজুরির কারণে দলে নেই তাসকিন আহমেদ আর পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) জন্য ছুটিতে থাকায় লিটন দাসকে রাখা হয়নি।

সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শক্তিশালী দল গঠনের কারণ ব্যাখা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দেশের মাঠে গত এক বছরের বাজে পারফরম্যান্স থেকে বেরিয়ে আসতেই মূলত এমন দল গড়া।

লিপু বলেন, “গত এক বছরে আমাদের দেশের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। সেকারণে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আমাদের সম্ভাব্য সেরা দলটি নিয়ে আমরা খেলার চেষ্টা করছি।” 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ১৮টি টেস্ট খেলেছে। তাতে শান্তরা জয় পেয়েছেন ৮টিতে আর হেরেছেন ৭টিতে। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সবশেষ ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। সেবার ধবলধোলাই হয় সফরকারীরা। এরপর ২০২১ সালে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েতে খেলতে যায়। সেবারও জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ।

তিনজন ওপেনার, তিন জন স্পিনার এবং ৪ জন পেসার নিয়ে দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। কনকাশনের বিষয়টি মাথায় রেখে এমন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।

“কনকাশন আসার পর থেকে লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের (একই ধরণের ক্রিকেটার) যে কথাটা চলে আসছে, সে কারণে একজন বাড়তি ওপেনার, মিডল অর্ডারে একটা রাখা, স্পিনে একজন রাখা, পেস বোলিংয়ে যদি তিনজন সিমার থাকে সেখানেও একজন রাখে। সেকারণে আমাদের স্কোয়াডটা আমরা ১৫ জনের করেছি।”

লিটন দাস না থাকায় ছয় কিংবা সাতে দেখা যেতে পারে জাকের আলী অনিক কিংবা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। দুজনেই টেস্টে নবাগত। কে খেলবেন এটা বাছাইয়ের জন্য ম্যানেজম্যান্টকে মধুর সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করেন আশরাফ।

“৬ বা ৭ এ লিটন দাস না থাকাতে এখানে একটা মধুর সমস্যা আছে। এটা বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। পাশাপাশি আমাদের স্পিনে অনেক অপশন আছে, মেহেদী মিরাজ অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন, তাইজুল আছেন, নাঈম আছেন, সো এই অপশনটাও রাখা হয়েছে। চারজন পেসার আছেন, সেখানেও অপশন থাকবে।”

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ও কন্যা’ গায়ক সোহাগ এখন লড়ছেন গানের মালিকানা নিয়ে
  • আবাহনীর জয়ে উজ্জ্বল অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক
  • ক্রিকেটারদের ‘সন্দেহজনক’ পারফরম্যান্স, গুরুতর অভিযোগ পারটেক্স কোচের
  • ৩১ ইনিংসে নেই সেঞ্চুরির জুটি,শুরুর হাল ধরবেন কে?
  • একের পর এক ছক্কা মারার রহস্য জানালেন পুরান
  • সামনের মৌসুমে ইপিএলের ৫ দল চ্যাম্পিয়নস লিগে
  • বছরজুড়ে দেশের মাঠে বাজে পারফরম্যান্স
  • কোন ওষুধে কাজ হচ্ছে কোহলির বেঙ্গালুরুর
  • পিএসএলে কেমন ছিল সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহদের পারফরম্যান্স
  • অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অগ্রণী ব্যাংককে জেতালেন তাইবুর