নির্বাচনে তাঁরা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন, এখন তিনিই তাঁদের চাকরি খেলেন
Published: 9th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন মাইকেল গ্রগনার্ড। ভেবেছিলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তিনিই সেরা প্রার্থী।
কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই গ্রগনার্ড বুঝে ফেলেছেন, কত বড় ভুলই না করেছেন তিনি। সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে যে হাজার হাজার কর্মীর চাকরি গেছে, গ্রগনার্ডও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন। মার্কিন কৃষি বিভাগে একজন আইনি উপদেষ্টা হিসেবে সবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনআট মাসের বেতন দিয়ে সিআইএর সব কর্মীকে সরাতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এই রিপাবলিকান ভোটার বলেন, চাকরি হারিয়ে বিস্মিত হয়েছেন তিনি। কারণ, অফিসের ব্যবস্থাপকেরা তাঁকে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন, তাঁর চাকরি নিরাপদ আছে।
সিএনএনকে গ্রগনার্ড বলেন, ‘আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।’ তিনি বলেন, তাঁর কাছে এটি ছিল স্বপ্নের চাকরি। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে এই সেদিনই জায়গা পাল্টে আরকানসাসের লিটল রক এলাকায় এসেছেন। বলেন, ‘আশা করছিলাম, চাকরিটা করে বাকি জীবন কাটিয়ে দেব।’
আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আশা করছিলাম, চাকরিটা করে বাকি জীবন কাটিয়ে দেব।-মাইকেল গ্রগনার্ড, রিপাবলিকান ভোটারমাইকেল গ্রগনার্ড চাকরি হারান গত মাসে। অথচ এর তিন মাস আগেই ট্রাম্পকে জেতাতে ভোট দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মতোই চাকরি হারানো অনেক ফেডারেল কর্মীও ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছিলেন।
সাবেক এই কর্মীদের কয়েকজন সিএনএনকে বলেন, তাঁরা ভেবেছিলেন, ট্রাম্পের নীতি তাঁদের মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং এ নীতি তাঁদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। কিন্তু এখন চাকরিই চলে গেছে। কাজ খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুনট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে যুক্ত থাকা আইনজীবীদের বরখাস্ত২৮ জানুয়ারি ২০২৫ফেডারেল কর্মীদের এমন গণ-চাকরিচ্যুতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্কের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও জনশক্তির আকার কমানোর পরিকল্পনারই অংশ। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন সরকারি সংস্থা থেকে শুধু হাজারো শিক্ষানবিশ কর্মীকেই বরখাস্ত করেনি; চাকরিচ্যুত করেছে শীর্ষস্থানীয় অনেক কর্মকর্তা ও পরিদর্শককেও। এ ছাড়া আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে ৭৭ হাজার কর্মীকে।
ফেডারেল কর্মীদের এমন গণ-চাকরিচ্যুতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্কের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও জনশক্তির আকার কমানোর পরিকল্পনারই অংশ। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন সরকারি সংস্থা থেকে শুধু হাজারো শিক্ষানবিশ কর্মীকেই বরখাস্ত করেনি; চাকরিচ্যুত করেছে শীর্ষস্থানীয় অনেক কর্মকর্তা ও পরিদর্শককেও। এ ছাড়া আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে ৭৭ হাজার কর্মীকে।মাইকেল গ্রগনার্ড বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোতে কর্মদক্ষতা আনার চেষ্টাকে তিনি সমর্থন করেন। কিন্তু এখন যেভাবে তা করা হচ্ছে, তার জন্য তিনি ভোট দেননি।
ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া এই মার্কিন বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভোট দিয়েছিলাম এ আশায় যে এটি দক্ষতার সঙ্গে ও খানিকটা বেশি যুক্তিসংগত উপায়ে করা হবে। অথচ তা ঘটেনি।’
জেমস ডায়াজ সম্প্রতি চাকরি হারানো প্রবীণ কর্মীদের একজন। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগে (আইআরএস) কাজ করতেন তিনি। ডায়াজ সিএনএনকে বলেন, ‘আমি ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছি ঠিক, কিন্তু তাঁর প্রশাসন যেভাবে গণহারে কর্মীদের চাকরি খাচ্ছে, তার সঙ্গে একমত নই।’
আমি ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছি ঠিক, কিন্তু তাঁর প্রশাসন যেভাবে গণহারে কর্মীদের চাকরি খাচ্ছে, তার সঙ্গে একমত নই।জেমস ডায়াজ, মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের চাকরিচ্যুত কর্মীডায়াজ আরও বলেন, ‘ঠিক যেসব কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া দরকার, তাঁদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে তারা (ট্রাম্প প্রশাসন) খুব একটা ভালো কাজ করছে বলে আমি মনে করি না। আমার ধারণা, তারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনা না করে এবং কোনটি ভালো ও কোনটি খারাপ, তা দেখার জন্য কিছু তদন্ত করার পরিবর্তে শুধু ঢালাও পন্থা অবলম্বন করছে।’
ইলন মাস্ক.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ কর চ য ত কর ম দ র র চ কর কর ম ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটালে ইকো-কার্ডিওগ্রাফি মেশিন দিল এনসিসি ব্যাংক
এনসিসি ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ফেনীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনিসটিউটে একটি পোর্টেবল ইকো-কার্ডিওগ্রাফি মেশিন দিয়েছে।
এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম সম্প্রতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হাসপাতালটির কার্যকরি কাউন্সিলের সভায় ইকো-কার্ডিওগ্রাফি মেশিনটি হস্তান্তর করেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শাহ নেওয়াজ সিরাজ মামুনের সঞ্চালনায় এর কার্যকরি কাউন্সিলের সহসভাপতি মো. নাছির উদ্দিন তসলিম, অধ্যাপক মুহাম্মদ লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমিন খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট পার্থ পাল চৌধুরী এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মীরুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম এই মহতী উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এনসিসি ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফেনীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনিসটিটিউটে একটি পোর্টেবল ইকো-কার্ডিওগ্রাফি মেশিন অনুদান হিসেবে দিয়েছে।”
এছাড়া সামাজিক উন্নয়নে এনসিসি ব্যাংকের এই ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/সাজ্জাদ/এসবি