টাঙ্গাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি দখলমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ছোট কালীবাড়ি এলাকার ওই বাসা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের বের করে সন্তোষ বড়ইতলা এলাকার আগের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

গতকাল রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ জোয়াহেরুল ইসলামের বাসভবনে যায়। পরে তারা ওই বাড়ি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিন্নমূল মানুষকে বের করে নিয়ে যায়।

এর আগে গতকাল দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক মারইয়াম মুকাদ্দাস ওরফে মিষ্টি সাবেক সংসদ সদস্যের বাসার তালা ভেঙে একদল মানসিক ভারসম্যহীন মানুষকে নিয়ে ভেতরে যান। তিনি ওই বাড়িতে ‘পাগলের আশ্রম’ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। এতে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, এভাবে একজনের বাড়ি দখল করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই তাঁরা বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানান। তাঁরা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন।

আরও পড়ুনটাঙ্গাইলে সাবেক এমপির বাড়ি দখল করে ‘পাগলের আশ্রম’ চালু১৬ ঘণ্টা আগে

জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান অভিযোগ করেন, ‘আমাদের কাছে প্রথমে মিষ্টি নামের এক মেয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। আমি এ ঘটনায় থানায় মামলা করব। বাড়িটি আমার নামে, আমার স্বামীর নামে নয়। আমি এ ঘটনায় সঠিক বিচারের দাবি করছি।’

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফ বলেন, ‘১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সমাজসেবাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পুনর্বাসন করা হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দখলমুক্ত হলো সাবেক এমপি জোয়াহেরুলের সেই বাড়িটি 

টাঙ্গাইল শহরে ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের ছয়তলা বাড়িটি দখলমুক্ত করা হয়েছে। শনিবার মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামের ছাত্র প্রতিনিধি তালা ভেঙে শহরের ছোট কালীবাড়ি রোডের বাড়িতে ‌‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তিদের এ রাখেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ জোয়াহেরুল ইসলামের বাসভবনে যায়। এরপর ওই বাড়ি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের বের করে সন্তোষ বড়ইতলা এলাকার আগের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফ বলেন, ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সমাজসেবাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পুনর্বাসন করা হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সপরিবারে আত্মগোপনে জোয়াহেরুল ইসলাম। এর মধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে জোয়াহেরের বাড়িটি দখল করে আশ্রম করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, সকালে মিষ্টি তালা ভেঙে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের মানসিক ভারসাম্যহীন ২০ ব্যক্তিকে নিয়ে জোয়াহেরের বাড়িতে প্রবেশ করেন। জানতে চাইলে মিষ্টি বলেন, এটি জবরদখল নয়। কারণ কোনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যবহারে বাড়িটি নেওয়া হয়নি। ফেসবুকে আগেই আওয়ামী লীগের সব নেতার বাড়িতে পাগলদের জন্য ‘আশ্রম’ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার ছয়তলা ভবনে ২০ পাগল রাখা হয়েছে। এ কাজে তাঁকে অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধি সমর্থন দিয়েছেন বলে জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের আহ্বায়ক আল আমিন জানান, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক ছাত্র প্রতিনিধি আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে পাগলের আশ্রম করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে তারা এটি সমর্থন করেন না। আল আমিন বলেন, ‘মিষ্টি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিলেন। তাই বলে তিনি বিশেষ সুবিধা নেবেন, তা কাম্য নয়। এটি ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনার সঙ্গে যায় না। তা ছাড়া বর্তমানে কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিতে পারবেন না। বাড়ি দখলের মতো অপরাধ করলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে প্রথমে মিষ্টি নামের এক মেয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দখলমুক্ত হলো সাবেক এমপি জোয়াহেরুলের সেই বাড়ি 
  • দখলমুক্ত হলো সাবেক এমপি জোয়াহেরুলের সেই বাড়িটি 
  • দোহারে জমি নিয়ে বিরোধে বসতবাড়িতে হামলা, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট