Samakal:
2025-04-09@13:16:44 GMT

কোহলি আর কেনের মঞ্চ

Published: 9th, March 2025 GMT

কোহলি আর কেনের মঞ্চ

দাবার বোর্ডের মতোই সাজানো দু’দলের রাজা, মন্ত্রী, গজ, ঘোড়া, নৌকা, বোড়ে। যেখানে ভারত যদি শুভমান গিলকে এগিয়ে দেয়, নিউজিল্যান্ডের হাতে তখন রাচিন রবীন্দ্র। স্যান্টনারের সমান টক্কর নিতে প্রস্তুত অক্ষর প্যাটেল। লাথামের সঙ্গে যদি শ্রেয়াসকে মেলানো যায়, তাহলে ব্রেসওয়েলের সঙ্গে ভারত এগিয়ে দিতে পারে বরুণ চক্রবর্তীকে। তবে দু’দলের রাজা বোধ হয় প্রতিষ্ঠিত; একদিকে বিরাট কোহলি অন্যদিকে কেন উইলিয়ামসন। 

নিউজিল্যান্ড যে ছয়টি আইসিসি টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলেছে, তার পাঁচটিতেই সাক্ষী বছর চৌত্রিশের কেন। নিউজিল্যান্ড আজ চ্যাম্পিয়ন হলে হয়তো এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে পারেন তিনি। একই লক্ষ্য বছর ছত্রিশের কোহলিরও। এই মুহূর্তে বিশ্বক্রিকেটে যে ‘ফ্যাব ফোর’ এর কথা বলা হয়; তাদের মধ্যে জো রুট, স্টিভ স্মিথ ছাড়াও রয়েছেন কোহলি ও উইলিয়ামসন। ফাইনালের মঞ্চে তাই এই দু’জনের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।

এখন পর্যন্ত আইসিসির তিনটি ইভেন্টে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন কোহলি। ২০১৪ ও ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপের পর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও আসর সেরা হয়েছিলেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৭৬৫ রেকর্ড রান করে আসর শেষ করেছিলেন। এক বিশ্বকাপে তাঁর চেয়ে বেশি রান আর কেউ করতে পারেননি। গত টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অবসর নিয়েছিলেন। সেখানেও এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১২৯২ রান করেছিলেন। এবারও তিনি একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে। আজ ৪৫ রান করলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ক্রিস গেইলের করা ৭৯১ রান ছাড়িয়ে যাবেন। 

অন্যদিকে স্টিফেন ফ্লেমিং ও ড্যারেন ভেট্টরির পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে এক ভরসার জায়গা করে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে ব্যাট হাতে তিনি ঠিক কতটা কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন, তা তাঁর পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ওয়ানডে ও টি২০ ফরম্যাটে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনিই সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি সবচেয়ে বেশি ৫৩৪ রান করেছেন। বিশ্বকাপে তাঁর মোট রান ১১৬৭ এবং টি২০ বিশ্বকাপে তিনি করেছেন মোট ৭২৭ রান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ন উইল য় মসন ব র ট ক হল র ন কর সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারীকরণে দীর্ঘসূত্রতা!

কলেজ ও মাধ্যমিক স্কুল মিলে ২০১৬ সাল থেকে উপজেলা স্তরের অন্তত সাড়ে ৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারীকরণ প্রক্রিয়ায় আনা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান ‘কাঠখড় পুড়িয়ে’ দীর্ঘদিনে শিক্ষক-কর্মচারীদের পদায়নসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হলেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নানা কারণ ও অজুহাতে এখনও অনেক পিছে পড়ে রয়েছে।   

মন্ত্রণালয়-দপ্তর-বিভাগ; এ টেবিল-ও টেবিল; বড় কর্তা-মাঝারি কর্তা-ছোট কর্তা– সবার মন রক্ষা করা কঠিন হলেও তা করার জন্য সাধ্যানুসারে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া প্রক্রিয়াটি ৮-৯ বছরেও সম্পন্ন করা গেল না! তাহলে কী লাভ হলো এমন সরকারীকরণে? এ দীর্ঘ সময়ে সরকারীকরণের কোনো সুবিধা না পেয়েই অনেকে অবসরে চলে গেছেন। মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। 

অনেক প্রতিষ্ঠানে এক বা দেড়-দুই বছর আগে অর্ধেক সংখ্যক (প্রতিষ্ঠানভেদে কম-বেশি হতে পারে) শিক্ষক-কর্মচারীর পদায়ন হয়েছে, বাকিগুলো ঝুলন্ত। 
না সরকারি-না বেসরকারি অবস্থায় তাদের রীতিমতো গলদ্ঘর্ম হতে হচ্ছে।
পদায়নকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের মাঝে ভিন্ন রকমের বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়া কিংবা অবসরে গিয়েও শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘ম্যানেজ সংস্কৃতি’ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এ যেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সঙ্গে বসবাস! তা ছাড়া এটি যে কতটা মানসিক পীড়ার কারণ, তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কারও পক্ষে অনুমান করা কঠিন। 
সেই ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে কতবার যে মূল সনদপত্র এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও নথিপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এর কোনো হিসাব নেই। শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত; আমার মতো অনেকে অবসরে গেছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কারও রেহাই নেই। ফটোকপি আর ফটোকপি। চরম অস্বস্তিকর এক ব্যাপার।
একটি দপ্তরে (তা না হলে দুই জায়গায়) মূল সনদ ও নথিপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলে বাকিগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী কিংবা প্রতিষ্ঠানকে না ডেকে ‘আন্তঃদাপ্তরিক যোগাযোগ’-এর মাধ্যমে তা সম্পন্ন করা উচিত ছিল।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যে বলতে গেলে ভেঙে পড়ার উপক্রম, এর একটি বড় কারণ অপরিকল্পিতভাবে এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের সরকারীকরণ।
সরকারি হওয়া তিন-সাড়ে তিনশ কলেজের মধ্যে কমপক্ষে দুইশ কলেজে নিয়মিত অধ্যক্ষ নেই। কোনোটি তিন বছর, কোনোটি আবার পাঁচ-সাত বছর, এমনকি আট-দশ বছর ধরে অধ্যক্ষশূন্য। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ভারে কলেজগুলো বলতে গেলে ন্যুব্জ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে কলেজগুলোয় চলা ভিন্ন রকমের খেলা এখনও শেষ হয়নি। অবসরে গেছেন কিংবা মৃত্যু হয়েছে, এমন শিক্ষকের স্থলে গত সাত-আট বছরে বিষয়ভিত্তিক কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
দীর্ঘদিন অধ্যক্ষহীন সরকারি হওয়া কোনো কোনো কলেজে শিক্ষা ক্যাডার থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিলেও মাত্র দুই-চার মাস কিংবা বড়জোর এক বছরের মধ্যেই তিনি বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন– এমন উদাহরণ এক-দুটি নয়, অনেক। এক কথায়, প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা লাটে উঠতে বড় বেশি বাকি বলে মনে হয় না। 
সবচেয়ে ভয়াবহ ও দুর্ভাবনার বিষয় হলো, সংশ্লিষ্টদের উপেক্ষা ও অবহেলা। এভাবেই পার হয়েছে অন্তত আটটি বছর। এ নিয়ে ভালো কোনো আলোচনা নেই। দেশে এখন রাজনীতি, নির্বাচন আর গদি ছাড়া যেন আর কোনো বিষয়ই নেই আলোচনার।
মেঘে মেঘে বেলা অনেক হয়ে গেছে। শুধু হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী নন, তাদের পরিবার ও নিকটজনও এ নিয়ে স্বস্তিতে নেই। দীর্ঘমেয়াদি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও বিড়ম্বনার নিরসন না হলে এমন সরকারীকরণের সার্থকতা কোথায়?   

বিমল সরকার: কলাম লেখক, অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারীকরণে দীর্ঘসূত্রতা!
  • কনকাশন সমস্যায় মাত্র ২৭ বছর বয়সে অবসরে পুকোভস্কি
  • বারবার মাথায় আঘাত, ২৭ বছরেই ক্রিকেট ছাড়লেন সেই পুকোভস্কি
  • কনকাশনের কাছে হার মেনে ২৭ বছরেই ক্রিকেট ছাড়লেন সেই পুকোভস্কি