মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরে অবৈধ বালু ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত পলাশ সরদার (১৭) মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জনে।

শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে, বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষে দুই ভাই সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

পুলিশ, স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদারের সঙ্গে একই এলাকার হোসেন সরদারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে, শনিবার সাইফুল সরদারের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাইফুলের ভাই আতাউর সরদার, অলিল সরদার ও তার পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলা থেকে বাঁচতে সাইফুল ও তার আরো দুই ভাই বাড়ির সামনে একটি মসজিদে আশ্রয় নেন। পরে হামলাকারীরা মসজিদের মধ্যে ঢুকে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় তাদের উদ্ধারে এগিয়ে এলে হামলায় আহত হন আরো দুজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইফুল-আতাউরের মরদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর আহতাবস্থায় পলাশ সরদারকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, ‘‘বালু ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পলাশ সরদার নামে আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জনে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/বেলাল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল সরদ র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম নগরে জেলা প্রশাসনের অভিযান

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্পেশাল মোবাইল কোর্ট। 

রবিবার (৯ মার্চ) জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানমের নির্দেশনায় নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজার ও চকবাজার-এ এই অভিযান পরিচালিত হয়। 

কাজীর দেউড়ি বাজার-এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাকলিয়া সার্কেল এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার কণা। অভিযান চলাকালে সয়াবিন তেল, খেজুর, ডিম, ফলমূলসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজার পরিদর্শন করা হয়। 

এসময় ভোজ্যতেল ধার্যকৃত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করা এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন বিহীন পণ্য বিক্রয়, পণ্যের মোড়ক ঠিকমতো না থাকার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মোট ৩টি মামলায় মোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এসময় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

একই দিনে মহানগরীর চকবাজার কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর সার্কেল এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম। অভিযান চলাকালে ওজনে কারচুপি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অভিযোগে ওজন ও পরিমাণ মানদণ্ড আইনে ৫টি মামলায় মোট ছয় হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রির দোকানসমূহে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয় এবং মজুদদারি রোধে সকল বিক্রেতাকে সতর্ক করা হয়। বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্সের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পুরো রমজান মাসব্যাপী চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ