অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে বিশেষ অভিযানে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের পুরাতন বন্দর এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

স্থানীয়রা জানান, বিগত সরকারের আমলে যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থেকে বিগত সরকারের নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ফলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস, মেয়ে সুমাইয়া আলী ঈশিতা এবং দুই ছেলে আশিক আলী ও মাহতাব আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ আলী এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জন, খাস জমি দখল করে ৫ তলা বাণিজ্যিক হোটেল নির্মাণ এবং সন্দেহজনক লেনদেন বা মানিলন্ডারিংসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা সপরিবারে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

মোহাম্মদ আলী ছাত্রজীবনে বামপন্থি রাজনীতি করতেন। পরে যোগ দেন যুবদলে। এর পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেও ঋণখেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। 

মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যান। আয়েশা ফেরদাউস ২০১৪ ও ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে সরকার পতন হলে তিনি পদ হারান।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ