আইসিসি চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের আগের রাতে বিতর্ক যেন আরো একটু উসকে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার জুনায়েদ খান। ২০১৭ সালে সবশেষ চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানকে শিরোপা জেতানোতে ভূমিকায় ছিলেন জুনায়েদ। এবার তিনি দর্শকের ভূমিকায়।

তবে দর্শকের ভূমিকায় থেকেও ভারতের ‘পিছু ছাড়ছেন না’ জুনায়েদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে কড়া সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘কিছু দল স্কিলের কারণে জিতে যায়। কেউ কেউ সিডিউলের কারণে।’ জুনায়েদের সমালোচনার তীর যে ভারতের দিকে তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই।

কেননা ভারত এবারের চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলছে দুবাইয়ে। পাকিস্তান স্বাগতিক হওয়ায় ভারত সফর থেকে পাকিস্তান সফরের অনুমতি পাননি রোহিত-কোহলিরা। তাই বাধ‌্য হয়ে পাকিস্তানকে হাইব্রিড মডেলে চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে হয়। যেখানে ভারত তাদের সবগুলো ম‌্যাচ খেলে দুবাইয়ে। অার তাদের বিপক্ষে যারা খেলেছে প্রত‌্যেকেকে পাকিস্তান, দুবাই সফর করতে হয়েছে।

ভারত দুবাইয়ে স্থির থেকে কোনো ভ্রমণক্লান্তি ছাড়া গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সবকটি ম‌্যাচ খেলেছে। নিউ জিল‌্যান্ডকে শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম‌্যাচ খেলতে হয়েছে করাচিতে। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম‌্যাচ খেলে রাওয়ালপিণ্ডিতে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম‌্যাচ খেলতে তাদের উড়াল দিতে হয় দুবাই।

এরপর সেমিফাইনাল ম‌্যাচ খেলতে কেন উইলিয়ামসন, টম লাথামদের যেতে হয় লাহোরে। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তারা পায় ফাইনালের টিকিট। এখন ফাইনাল খেলতে নিউ জিল‌্যান্ড এখন দুবাইয়ে।

সব মিলিয়ে নিউ জিল‌্যান্ড চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে ভ্রমণ করেছে ৭, ১৫০ কিলোমিটার। ভারত করেছে শূন‌্য কিলোমিটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩, ২৮৬ কিলোমিটার।

জুনায়েদ খান এক্স-অ‌্যাকাউন্টে সে-ই কথাই তুলে ধরেছেন, ‘‘২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ম্যাচগুলির মধ্যে ভ্রমণ করা দলগুলোর দূরত্বের পরিমান:

নিউ জিল‌্যান্ড: ৭,১৫০ কিলোমিটার

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩,২৮৬ কিলোমিটার

ভারত: ০ কিলোমিটার’’

ভারতের পাশে জুনায়েদ বাড়ির ইমোজি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারত স্বাগতিক হয়ে এই প্রতিযোগিতায় খেলছে।

শুধু ভ্রমণঝাক্কিই শেষ কথা নয়। নিউ জিল‌্যান্ড একেক কন্ডিশনে খেলছে। একেক উইকেটে পরীক্ষা দিচ্ছে। সেখানে ভারত একই ভেনু‌্য, প্রায় একই ধরণের কন্ডিশন ও উইকেটে খেলে ‘অভ‌্যস্ত’ হয়ে গেছে। সব কিছু মিলিয়ে প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ তারা। যদিও টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ভারত দাবি করে আসছে, বাড়তি কোনো সুবিধাই তারা পাচ্ছে না। তাদেরকেও কন্ডিশনের সঙ্গে, উইকেটের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হচ্ছে।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

৭ ছক্কায় ইয়াসিরের ১৪৩, জোড়া সেঞ্চুরিতে জয় ব্রাদার্সের

ইয়াসির আলীর ব্যাটে বড় রান পায় ধানমন্ডি ক্লাব। এরপর তারা হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের মাহফিজুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। মিরপুরে অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।মাহফিজুল-মিজানুর জুটিতে ব্রাদার্স

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৮৮ রান করেছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। তবে এই স্কোরটাকেও একদম সহজ বানিয়ে ফেলেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের মাহফিজুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান।

দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে শূন্য রানে ফিরে যান ব্রাদার্সের ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন। এরপর ২৫০ রানের জুটি গড়েন মাহফিজুল ও মিজানুর। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৯ বলে ১৩৬ রান করে মিজানুর রিটায়ার্ড হার্ট হলে এই জুটি ভাঙে।

১২৭ বলে ১১৩ রান করা মাহফিজুল বোল্ড হন রহিম আহমেদের বলে। শাইনপুকুর হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৯৬ বলে ৯৫ রানও করেন এই রহিমই। ৭ বল আগেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় ব্রাদার্স।

গাজী গ্রুপের জয়

আগের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে ১০ উইকেটে হেরে যাওয়া গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে। ভালো শুরুর পরও অগ্রণী ব্যাংককে ২১৬ রানে অলআউট করে তারা। এরপর দলটি জয় পেয়েছে ৪ উইকেটে।

শুরুতে ব্যাট করতে নামা অগ্রণী ব্যাংকের দুই ওপেনার ব্যর্থ হওয়ার পর হাল ধরেন ইমরুল কায়েস ও অমিত হাসান। ৬১ বলে ৫০ রান করে ইমরুল ও ১১১ বলে ৮৯ রান করে অমিত ফিরে গেলে পরের ব্যাটসম্যানরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। গাজী গ্রুপের আবদুল গাফফার তিন এবং তোফায়েল আহমেদ ও মুকিদুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।

রান তাড়ায় নেমে ৪ বলে শূন্য রান করে আউট হয়ে যান গাজী গ্রুপের ওপেনার এনামুল হক। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ডাক মেরে ফেরার পর দলকে টেনে নেন সাদিকুর রহমান ও তোফায়েল আহমেদ।

৬৪ বলে ৫২ রান করে রবিউল হকের বলে তোফায়েল ক্যাচ তুলে দিলে এই জুটি ভেঙে যায়। সাদিকুরও অবশ্য সেঞ্চুরি তুলতে পারেননি, রুয়েল মিয়ার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯৬ বলে ৮৯ রান করেন তিনি। এরপর দলকে টানেন শামসুর রহমান, ৭৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য গাজী গ্রুপের দরকার কেবল ৮ রান।

ইয়াসিরের সর্বোচ্চ ইনিংস

১২১ বলের ইনিংসে ৭ চার ও সমান ছক্কায় ১৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির আলী। লিস্ট-এ ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় শতকের দিন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানও করে ফেলেছেন তিনি। তাঁর এমন দুর্দান্ত ইনিংসের সঙ্গে মঈন খানের ৬৩ বলে ৬২ ও জিয়াউর রহমানের ১৮ বলে ৪০ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ধানমন্ডি ক্লাব।

বড় রান তাড়ায় নেমে ২৬ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এরপর অবশ্য সাইফ হাসান ও আফিফ হোসেন মিলে দলের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। ১৭২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।

তবে সাইফ হাসান ১১২ বলে ৯৫ ও আফিফ হোসেন ৯৬ বলে ৯৮ রানে আউট হলে দলের বাকিরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। রেজাউর রহমানের ৩৯ বলে ৪৯ রান কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রানে থামে রূপগঞ্জ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইলে সালিশে ধর্ষণের মূল্য দেড় লাখ টাকা!
  • হিযবুত তাহরীরের ৫ জন কারাগারে
  • দুই শ হলো না নাঈমের
  • শ্রীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, অভিযুক্ত তরুণ আটক
  • চারুতা সংগীত একাডেমির সুরেলা সন্ধ্যা
  • চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে আরেফিন সিদ্দিককে
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীকে মারধর, দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ
  • শহীদ মিনারে এপোলো জামালীর মরদেহে শ্রদ্ধা
  • ৭ ছক্কায় ইয়াসিরের ১৪৩, জোড়া সেঞ্চুরিতে জয় ব্রাদার্সের