স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যোগাযোগ, বিনোদন কিংবা কাজের প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এটি অপরিহার্য। কিন্তু হঠাৎ যদি ফোনে চার্জ বন্ধ হয়, তখন বিরক্তি ও দুশ্চিন্তা দুটোই বাড়তে থাকে। জরুরি প্রয়োজনে ফোন ব্যবহার করতে না পারা বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। চার্জিং সমস্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। চার্জিং কেব্‌ল বা অ্যাডাপ্টারের ত্রুটি, চার্জিং পোর্টে ধুলা জমে থাকা কিংবা সফটওয়্যারের সমস্যার কারণেও ফোন চার্জ বন্ধ হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরে বসেই সহজ কিছু উপায়ে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। দেখে নেওয়া যাক কীভাবে স্মার্টফোনের চার্জিং সমস্যার সমাধান করা যায়।

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করা

অনেক সময় ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা অ্যাপ চার্জিং প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। ফোন চার্জে দিলেও ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায় বা চার্জ নিতে চায় না। তাই চার্জ দেওয়ার আগে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলো বন্ধ করে নিতে হবে।

ফোন রিস্টার্ট করা

কখনো কখনো ফোনের সফটওয়্যারে সাময়িক ত্রুটির কারণে চার্জিং সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যা হলে ফোনটি বন্ধ করে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে, পুনরায় চালু করতে হবে। এতে সাধারণত চার্জিং–সংক্রান্ত ছোটখাটো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

চার্জিং কেব্‌ল ও অ্যাডাপ্টার পরীক্ষা করা

চার্জার নষ্ট হলে ফোন চার্জ হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা খেয়াল করি না। এ জন্য চার্জিং কেব্‌ল ও অ্যাডাপ্টার অন্য কোনো যন্ত্রে সংযুক্ত করে দেখতে হবে ঠিকভাবে কাজ করছে কি না। যদি চার্জ না হয়, তাহলে নতুন কেব্‌ল বা অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই ফোনের ব্র্যান্ডের মূল চার্জার ব্যবহার করা উচিত। কারণ, নিম্নমানের চার্জার ফোনের ক্ষতি করতে পারে।

চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার করা

ধুলাবালু বা ময়লা জমে থাকলে চার্জিং পোর্ট ঠিকমতো কাজ না–ও করতে পারে। তাই নিয়মিত চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার রাখা জরুরি। পরিষ্কারের জন্য নরম শুকনা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পোর্ট পরিষ্কার করতে কখনোই তরল বা ধাতব বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।

ওপরে উল্লিখিত সব পদ্ধতি অনুসরণ করার পরও যদি ফোন চার্জ না নেয়, তাহলে দ্রুত কোনো অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। অনেক সময় ব্যাটারি বা চার্জিং পোর্টে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এমন সমস্যা হলে মেরামতের প্রয়োজন পড়ে।

সূত্র: টেকলুসিভ ডটইন

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর পর ষ ক র সমস য র র করত

এছাড়াও পড়ুন:

গুগলের কুইক শেয়ার অ্যাপে ত্রুটি, ঝুঁকিতে যে সংস্করণের ব্যবহারকারীরা

গুগলের কুইক শেয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে তারের সংযোগ ছাড়াই আশপাশে থাকা নির্দিষ্ট স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দ্রুত ফাইল আদান-প্রদান করা যায়। তাই অনেকেই নিয়মিত অ্যাপটির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করেন। ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেলেও অ্যাপটির উইন্ডোজ সংস্করণে ভয়ংকর এক নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সেফব্রিচ ল্যাবসের গবেষকেরা।

সেফব্রিচ ল্যাবসের তথ্যমতে, কুইক শেয়ার অ্যাপের উইন্ডোজ সংস্করণে ‘সিভিই-২০২৪-১০৬৬৮’ নামের ত্রুটি শনাক্ত হয়েছে। এই ত্রুটির কারণে ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই যেকোনো ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ফাইল পাঠানো যায়। এর ফলে ম্যালওয়্যারযুক্ত ফাইল পাঠিয়ে দূর থেকে নির্দিষ্ট ল্যাপটপ বা কম্পিউটার অকার্যকর করার পাশাপাশি সেগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে সাইবার অপরাধীরা।

আরও পড়ুনফোন থেকে কম্পিউটারে ছবি নেবেন যেভাবে০১ জানুয়ারি ২০২৩

কুইক শেয়ার অ্যাপে যখন কোনো ফাইলের নাম একটি ইউটিএফ-৮ বাইট দিয়ে শুরু হয়, তখন ডিনায়েল অব সার্ভিস বা ডিওএস ঘরানার ত্রুটিটি সক্রিয় হয়। ত্রুটিটির বিষয়ে সেফব্রিচের গবেষক ওর ইয়ার বলেন, 'এ গবেষণা শুধু কুইক শেয়ার অ্যাপের ওপর করা হলেও এর প্রভাব পুরো সফটওয়্যার খাতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সফটওয়্যার যত জটিলই হোক, মূল কারণ চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করা জরুরি।’

আরও পড়ুনফোন থেকে ফোনে নম্বর স্থানান্তর করবেন যেভাবে২৫ জুন ২০২৩

প্রসঙ্গত, সেফব্রিচ ল্যাবস গত বছরের আগস্টে গুগলকে কুইক শেয়ার অ্যাপে ‘কুইকশেল’ নামের একটি ত্রুটিসহ ১০টি নিরাপত্তা–দুর্বলতা থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছিল। এরপর গুগল নিরাপত্তাত্রুটিগুলোর সমাধান করে কুইক শেয়ার ফর উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করে। তবে সেফব্রিচের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগে শনাক্ত হওয়া দুটি ত্রুটি পুরোপুরি সমাধান হয়নি।

সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুগলের কুইক শেয়ার অ্যাপে ত্রুটি, ঝুঁকিতে যে সংস্করণের ব্যবহারকারীরা