খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় অপর্ণা চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি বাড়ির উঠান থেকে থৈঅং প্রু মারমা (১২) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে সদর উপজেলার অপর্ণা চৌধুরীপাড়ার অংসা মারমার বাসার কাজ করত। শনিবার বিকেলে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন।
জানা গেছে, জেলা শহরের অপর্ণা চৌধুরীপাড়ার বাড়িতে গৃহপরিচালক থৈঅং প্রু মারমাকে রেখে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাইরে যান মালিকের স্ত্রী মাসিনু মারমা। ঘণ্টাখানেক পর ফিরে এসে গেট খোলার জন্য তাকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় দেয়াল বেয়ে ভেরতে ঢুকে গেট খোলা হয়। এ সময় বাড়ির উঠানে বালুর স্তুপে পড়ে ছিল শিশুটির মরদেহ। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত থৈঅং প্রু মার্মা খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার দেওয়ানপাড়ার থঅংগ্য মার্মার ছেলে। এক বছর আগে জেলা শহরের অপর্ণা চৌধুরীপাড়ার এ বাড়িতে গৃহপরিচায়ক হিসেবে কাজ শুরু করে সে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ বাড়ির উঠানের বালুর স্তুপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ রিটেইল কংগ্রেসে সেরা ই–কমার্স পুরস্কার পেয়েছে শপআপ
বাংলাদেশ রিটেইল কংগ্রেস ২০২৪–এ সেরা ই–কমার্স (বিটুবি) বিভাগে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছে দেশের অন্যতম বিজনেস টু বিজনেস ব্যবসা প্ল্যাটফর্ম শপআপ। বাংলাদেশের রিটেইল ইকোসিস্টেমের রূপান্তরে অবদান রাখায় শপআপের বিটুবি কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘মোকামকে’ এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল লো মেরিডিয়েনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে শপআপ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শপআপের বিটুবি প্ল্যাটফর্ম মোকাম ছোট খুচরা বিক্রেতাদের কারখানা (মিল) ও উৎপাদকের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতে সরবরাহব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।
বাংলাদেশে ৪৫ লাখের বেশি খুচরা ব্যবসায়ী রয়েছেন উল্লেখ করে শপআপ জানায়, এই খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহের সমস্যাগুলো সমাধান করা, লাভ বাড়ানো এবং ভোক্তাদের জন্য স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য নিশ্চিতে মোকাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
শপআপের ডিরেক্টর শাবাব দীন শরেক বলেন, ‘এই পুরস্কার আসলে ছোট মুদিদোকানদারদের অবদান। এই দোকানিরা, যাঁরা আমাদের সমাজে অসাধারণ প্রভাব ফেললেও অনেক সময় উপেক্ষিত থেকে যান। মোকামের সাফল্যের পেছনে প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে তাঁদের ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রম। আমরা তাঁদের ব্যবসা বৃদ্ধি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ধারাবাহিকভাবে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানে মোকাম ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারগুলো (এমডিসি) অবস্থিত। পণ্যের চাহিদা একত্র করে ছোট খুচরা বিক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সংগ্রহের সুযোগ করে দেয় মোকাম। এতে ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের লাভ বৃদ্ধি পায় এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর নির্ভরতা কমে। উন্নত প্রযুক্তি অবকাঠামো ও তথ্যভিত্তিক চাহিদা পূর্বাভাসের মাধ্যমে মোকাম বাংলাদেশের খুচরা বাজারে ক্রমাগত বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে।
শপআপ আরও জানায়, ২০২৩ সালে ৩ কোটি ১ লাখ মানুষ শপআপ নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত মুদিদোকান থেকে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করেছেন। এ সময়ে কোম্পানিটি ১০ লাখ মেট্রিক টন পণ্য স্থানান্তর করেছে, যা ইতিবাচকভাবে ছোট খুচরা বিক্রেতাদের ও বৃহত্তর অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে।