সাহ্রির সময় বেশি পানি খেয়ে ফেললে কী হয়?
Published: 9th, March 2025 GMT
সাহ্রিতে ভরপেট পানি খেয়ে ফেলার ভুলটা আমরা অনেকেই করি। সারা দিনের পানির চাহিদা মেটানোর কথা ভেবে, শেষ রাতে অনেকেই পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, একবারে অতিরিক্ত পানি খাওয়া ঠিক নয়। খাবার খাওয়ার পরপরই পানি খাওয়াটাও উচিত নয়। শেষরাতে একেবারে শেষ মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে খাবার খেয়েই ঢকঢক করে গ্লাসের পর গ্লাস পানি খাওয়া যাবে না। এতে কিন্তু পেটে বেশ অস্বস্তি হয়। হজমের সমস্যাও হতে পারে। সুস্থ থাকতে করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মতামত জেনে নেওয়া যাক।
সাহ্রিতে তিন গ্লাস তরল খাওয়া যেতে পারে। তবে সেটি একবারে নয়। খেতে হবে ধাপে ধাপে। এই তরল হতে পারে পানি কিংবা ফলের রস। অর্থাৎ সবকিছুর মিলিত পরিমাণ হতে পারে তিন গ্লাস। তবে যাঁরা রোদে বা চুলার কাছে কাজ করেন, তাঁদের পানির চাহিদা আরেকটু বেশি। সব ধরনের তরলের এই সম্মিলিত পরিমাণটা তাঁদের ক্ষেত্রে হতে পারে ২ লিটার। আর সাহ্রির সময় চা-কফি অবশ্যই বর্জনীয়। তবে খেতে পারেন ফলমূল। বিশেষ করে কলা, আপেল, তরমুজ, বাঙ্গির মতো ফল খাওয়া যেতে পারে, যা আপনার শরীরে পানির জোগান দেবে। এমনটাই বলছিলেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা.
রাজধানীর আজিমপুরের গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান বলেন, মূল খাবার খাওয়ার অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে পানি খাওয়া যাবে। খাবার খাওয়ার সময় খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি খাওয়া ঠিক নয়। আর খাওয়া শেষ করার অন্তত ১৫-২০ মিনিট পর পানি খেতে হবে। তা ছাড়া খাওয়াদাওয়া, পানি খাওয়া সব সেরে ফজরের নামাজের পর খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা ভালো।
সারা দিনের পানির চাহিদা পূরণ করতে এভাবে ধাপে ধাপে তরল খাবার খাওয়ার অভ্যাস করে নেওয়া উচিত। আর সুস্থতার এই চর্চা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটু আগেভাগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। খাবারের আগে ও পরে পর্যাপ্ত সময়ের ব্যবধান রেখে ভাগে ভাগে পানি বা তরল খাবার খেয়ে নিন। তাহলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠলেও সহজে পানিশূন্য হয়ে পড়বেন না, আর পেটের গোলযোগের ঝুঁকিও কমবে।
আরও পড়ুনরমজান মাসে কোন সময় চিয়া সিড খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন০২ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসির পরীক্ষা হলে বই ও মোবাইলফোন, ৯ শিক্ষককে অব্যাহতি
বাগেরহাটে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কক্ষে বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৯ শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০১, ১১০ ও ২১০ নম্বর কক্ষে টেবিলের উপরে ও নিচে ব্যাগ, বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. শহিদুল ইসলামের সই করা আদেশে ৯ শিক্ষককে ২০২৫ ও ২০২৬ সালের জন্য পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্রটিতে ১১টি বিদ্যালয়ের ৪৭৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৯ শিক্ষক হলেন- চিপা বারইখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ ও নিমাই চন্দ্র রায়। জিউধরা সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহানাজ আক্তার, তাপস কুমার মজুমদার, শহিদুল ইসলাম ও সোহেলী পারভিন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলি দেবনাথ, নাসির উদ্দিন খান ও অম্বিকাচরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শফরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৩টি কক্ষে বই ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ওই কক্ষগুলোতে দায়িত্বে থাকা ৯ শিক্ষককে ২ বছরের জন্য পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।