Samakal:
2025-04-10@10:45:53 GMT

পর্যটন নগরী পর্যটকশূন্য

Published: 8th, March 2025 GMT

পর্যটন নগরী পর্যটকশূন্য

রমজানের শুরু থেকেই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। পর্যটক খরায় ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে হোটেল-মোটেল ও সৈকতকেন্দ্রিক কয়েক হাজার ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
গত সাড়ে চার মাস ভালো ব্যবসা হলেও রমজানের শুরুতেই চরম খরা দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদ ঘিরে আবারও পর্যটন খাতে প্রাণসঞ্চার হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।
গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, পর্যটন নগরীর সুগন্ধা পয়েন্টের প্রবেশমুখে চিরচেনা যানজট নেই, ফাঁকা সড়ক ও দু’পাশের দোকানপাট বন্ধ। শহরের রেস্তোরাঁগুলোর চিত্রও একই। খালি পড়ে আছে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস।
জানা যায়, রোজার মাসে পর্যটক টানতে কক্সবাজারের হোটেল কর্তৃপক্ষ কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। আগে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের ভাড়া যদি দুই হাজার টাকা হয়, এখন সেই কক্ষে থাকা যাবে মাত্র ৬০০ টাকায়। হোটেল মালিকরা বলেন, অতিরিক্ত খরচের কারণে এতদিন যারা কক্সবাজার সৈকতসহ জেলার দর্শনীয় স্থান দেখতে পারেননি, রোজার মাসের বিশেষ ছাড়ের এ সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেন বলেও মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার সমকালকে বলেন, রোজার মাসে কক্সবাজারের ৯৯ শতাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকে। অধিকাংশ হোটেল, গেস্টহাউস ও কটেজের কর্মচারীদেরও বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ৩০-৪০ হাজার কর্মচারী ছুটিতে চলে গেছেন। অবশিষ্ট ১০-১৫ হাজার কর্মচারী দিয়ে হোটেলগুলো চালু রাখা হয়েছে। কিছু হোটেলের সংস্কার ও রঙের কাজ চলছে। তবে পর্যটকের জন্য সাহ্‌রি ও ইফতারের ব্যবস্থা করেছে বেশ কিছু হোটেল-রেস্তোরাঁ।
তিনি বলেন, হোটেলগুলোতে বিশেষ এ ছাড়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে রোজার মাসে পর্যটককে কম টাকায় সৈকত ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া। ঈদের দিন পর্যন্ত বিশেষ ছাড়ের এই ঘোষণা কার্যকর থাকবে। 
গতকাল দেখা যায়, সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে অলস সময় কাটছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বিচ বাইক চালক ও ফটোগ্রাফারদের। খালি পড়ে থাকা সৈকত যেন জানান দিচ্ছে পর্যটন খাতে নীরবতার চিত্র।
একইভাবে হোটেলে গিয়ে দেখা গেছে, কলাতলীর সাততলা রেইন ভিউ রিসোর্টে কক্ষ আছে ৫১টি। চারটি ছাড়া অবশিষ্ট ৪৭টি কক্ষ খালি পড়ে আছে। পাশের হোটেল কক্স ইন্টারন্যাশনালে কক্ষ আছে ২৫টি। অতিথি আছেন একটিতে, ২৪টিই খালি।
ডলফিন মোড়ের শাহজাদী রিসোর্টের ৪৫টি কক্ষের মধ্যে ৪৩টি খালি জানিয়ে রিসোর্টের মালিক নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর রোজার মাসে হোটেলগুলো খালি থাকে। এবারও খালি যাচ্ছে। তবে এবারের বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা কাজে আসতে পারে। পর্যটক টানতে তাঁর রিসোর্টের কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
হোটেল মালিকরা জানান, গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সৈকত ভ্রমণে আসেন অন্তত ২১ লাখ পর্যটক। এ সময় হোটেল কক্ষ ভাড়া ১০০ শতাংশ আদায় করা হয়। চলতি সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাসে ছয়-সাত লাখ পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এ সময়ও কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম কিবরিয়া খান বলেন, সন্তানদের স্কুল ছুটির অবসরে যারা একটু দূরে কয়েকটা দিন বেড়িয়ে আসতে চান, তাদের জন্য কক্সবাজার এখন আদর্শ জায়গা হতে পারে। কারণ, রমজান উপলক্ষে কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে চলছে বিশেষ ছাড়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে চীনের ১৫৫ জন নাগরিক’

রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিপক্ষে কমপক্ষে ১৫৫ জন চীনা নাগরিক লড়াই করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার এ দাবি করেছেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে দুই চীনা যোদ্ধাকে আটক করে ইউক্রেন। এরপরই এই মন্তব্য করলেন জেলেনস্কি। 

বুধবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জেলেনস্কি তার সরকারের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে দাবি বলেন, “আরো অনেক’ চীনা নাগরিক এই যুদ্ধে জড়িত।

বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, চীনা সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন তারা “প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলোকে চীনের ভূমিকা সঠিকভাবে ও বিচক্ষণতার সাথে বোঝার এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার পরামর্শ দিচ্ছেন।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, “চীন ইউক্রেনীয় সংকটের স্রষ্টা বা পক্ষ নয়। আমরা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের একজন দৃঢ় সমর্থক এবং সক্রিয় প্রচারক।”

লিন বলেন, চীন “সবসময় তার নাগরিকদের সশস্ত্র সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে থাকতে এবং যেকোনো ধরণের সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত হওয়া এড়াতে বলেছে, বিশেষ করে যেকোনো পক্ষের সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ এড়াতে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ