Samakal:
2025-04-30@02:36:35 GMT

সেতুর ওপর ঝুলছে ট্রাক

Published: 8th, March 2025 GMT

সেতুর ওপর ঝুলছে ট্রাক

ঢাকার ধামরাইয়ে বংশী নদীর ওপর বেইলি ব্রিজের পাটাতন ভেঙে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে কয়লাবোঝাই একটি ট্রাক। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ভালুম-কালামপুর বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ধামরাই ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জনসাধারণ। তাদের বহনকারী যানবাহনগুলোকে অন্তত ১০ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় ৩৫ বছর আগে ধামরাইয়ের কালামপুর-ভালুম-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের বংশী নদীর ওপর স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে। ১০ বছর আগে সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার জন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় নেওয়া হয়। এ সড়ক দিয়ে ধামরাইয়ের সানোড়া, কুশুরা, ভাড়ারিয়া, বাইশাকান্দা, যাদবপুর ইউনিয়নসহ পাশের কালিয়াকৈর উপজেলার বিপুলসংখ্যক মানুষ ধামরাই সদরসহ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন।
বেশ কিছুদিন ধরে ভালুম-কালামপুর বাজারের ওই বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন ভালুম গ্রামের কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী ওয়াসিম রানা। তিনি বলেন, এ দশা অন্তত ১০ বছর ধরে চলছে। এরই মধ্যে কয়েকবার জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয় সেতুটি। এতে যানবাহন চলাচল কোনো রকমে চলছিল। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। 
স্থানীয় লোকজন জানান, ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এ সেতুর ওপর দিয়ে শ্রমিকবাহী বাসসহ ইট, বালু, মাটি ও কয়লাভর্তি শত শত ট্রাক যাতায়াত করে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে কয়লাভর্তি একটি ট্রাক ভালুমের দিকে যাচ্ছিল। সেটি সেতুর উত্তর পাশে যাওয়ার পরই পেছনের দুই চাকা সেতুতে দেবে যায়। এ দৃশ্য দেখতে বংশী নদীর দুই পারে শত শত মানুষ ভিড় করছেন।
কালামপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল হালিম কণ্ঠু বলেন, শনিবার দুপুরে ধসে পড়ার পর থেকেই সেতুটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ। হেঁটে চলারও উপায় নেই। সবাইকে বিকল্প পথে চলাচল করার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নয়ারহাট-ইসলামপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ওসমান গণি বলেন, বেইলি ব্রিজে দুর্ঘটনার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এখান দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করতে দ্রুতই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক

বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ