মেডিকেল কলেজ বন্ধে ছাত্রদলের প্রতিবাদ
Published: 8th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে ও স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। এই কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে এতে অংশ গ্রহণ করেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
শনিবার দুপুরে শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে হবিগঞ্জ জেলা ছত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, যুগ্ম সম্পাদক মহিবুর রহমান শাওন, ছাত্রদল নেতা রুমেল খান চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজটি তাদের সম্পদ। এটির স্থায়ী ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও ডাক্তারদের প্রয়োজনীয়তাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। তারা বলেন, হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। যদি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করা হবে। এর আগে একই দাবিতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ ছ ত রদল ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে ঐতিহাসিক গোয়ালদী শাহী মসজিদ সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
সোনারগাঁওয়ে সুলতানি শাসনামলে নির্মিত ৫০৬ বছরের পুরনো অনন্য মুসলিম নিদর্শন গোয়ালদী শাহী মসজিদ সংস্কার ও যথাযথভাবে সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি’।
শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার গোয়ালদী এলাকায় অবস্থিত গোয়ালদী শাহী মসজিদের সামনে এই মানববন্ধনে অংশ নেন স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মী, কবি, লেখক, গণমাধ্যম কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সংগঠনটির আহ্বায়ক কবি ও সংস্কৃতি কর্মী শাহেদ কায়েসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সোনারগাঁওয়ে স্বাধীন সুলতানদের শাসনামলে ১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেনশাহের আমলে গোয়ালদী শাহী মসজিদটি নিমার্ণ করা হয়।
এ মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাধীন থাকলেও মসজিদটির বিভিন্ন অংশ বর্তমানে ঝঁকির মুখে রয়েছে। বিশেষ করে মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনের স্তম্ভটি হেলে পড়েছে। যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে।
এছাড়া মসজিদের চার কোনায় চারটি স্তম্ভের উপরের মাথার গোলাকার গম্বুজ ইতিমধ্যে ধসে গেছে। দ্রুত এর সংস্কার করা না হলে ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো বিলীন হয়ে যাবে।এ ঐতিহাসিক মসজিদটি দ্রুত সংস্কার করে যথাযথ সংরক্ষণ ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য দাবি জানান তারা।
মানবন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক, বিশিষ্ট কবি ও সংস্কৃতি কর্মী শাহেদ কায়েস বলেন, প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁওয়ের প্রবেশ মুখগুলোতে যদি সোনারগাঁ অঞ্চলের প্রতিটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সিটিজেন চার্টার স্থাপন করা হয় তাহলে পর্যটকরা সহজেই এ স্থানগুলো পরিদর্শন করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করেন সেজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা,জোড় দাবী জানাই।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব লেখক ও সাংবাদিক রবিউল হুসাইন, উদীচী’র সোনারগাঁ শাখার সভাপতি শংকর প্রকাশ, সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাখখার সাগর, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মোয়াজ্জেনুল হক, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের প্রচার সম্পাদক খায়রুল আলম খোকন, কবি ও সাংবাদিক এরশাদ হুসাইন অন্য ও সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের নির্বাহী সদস্য রোকেয়া আক্তার বেবী ও শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের অর্থ সম্পাদক সেলিম আহমেদ প্রধান, সংগঠক খাদিজা আক্তার, ইস্কান্দার আলী আলভী ও মোমেন মিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সোনারগাঁওয়ের ঐতিহাসিক পানাম সেতু সংরক্ষণের জন্য এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ‘সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি’ মানববন্ধন কর্মসূচু পালন করে। পরে এ সেতু সংরক্ষণের জন্য গত ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা, সংস্কৃতি উপদেষ্টা, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সোনারগাঁয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কাসটোডিয়ান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।