জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ২৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৭৩টি মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ২৩৯ জনের মধ্যে সাতজন ডাকাত। এ ছাড়া ২০ জন ছিনতাইকারী, ৪ জন চাঁদাবাজ, ১০ জন চোর, ১৭ জন মাদক কারবারি, ২৩ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুটি রড, একটি হাতুড়ি, একটি দা, একটি চাপাতি, পাঁচটি ছুরি ও ১০টি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আটটি মুঠোফোন, দুটি চকলেট বোমা, ৪১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩০৭টি ইয়াবা, ৩৬ গ্রাম হেরোইন ও ৩৩ বোতল দেশীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় দুই পালায় ৬৬৭টি টহল দল দায়িত্ব পালন করেছে। দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪৭৯টি মোবাইল প্যাট্রল টিম, ৭৩টি ফুট প্যাট্রল টিম এবং ১১৫টি হোন্ডা প্যাট্রল টিম। এ ছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপির ৭১টি পুলিশ তল্লাশিচৌকি পরিচালনা করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার

২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ।

বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ১২৬ বিলিয়ন ডলার, ভারত ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সৌদি আরব ৭৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।

সিপরি সতর্ক করে বলেছে, সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে অন্যান্য খাতের বাজেট কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ খরচ দেশটির মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় বেড়ে ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা তাদের জিডিপির ৩৪ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ