জলমহালে লুটপাট ঠেকাতে যৌথ বাহিনীর অভিযান
Published: 8th, March 2025 GMT
সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লার জলমহাল লুট ঠেকাতে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের দত্তগ্রাম ও আনোয়ারপুরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ফাইন্দা বিল জলমহালে অবৈধভাবে মাছ ধরার প্রচেষ্টাকালে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
পুলিশ জানায়, ওই বিলটিতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়-সাত হাজার মানুষ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পলো, বেড় জাল, কোচা, বড় হাতর, উড়াল জাল ও ঝাপ জালসহ জলমহালের পাড়ে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) যৌথ বাহিনী ও দিরাই থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত জনতাকে বুঝিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠান। এই জলমহালটির মোট আয়তন ১৯২ একর এবং সেখানে থেকে প্রতি বছর ৩৫-৪০ লাখ টাকার মাছ আহরণ করা হয়।
এই দুই উপজেলায় গেল ১০ দিনে লুটপাট হয়েছে ১১ বিল। হালুয়া খাটুয়া, দিরাই চাতল, শাল্লার সত্তুয়া নদী জলমহালসহ বিলগুলো লুট করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ইজারাকৃত বিল দাবি করে বেআইনি লুটপাট চালায় এলাকাবাসী। ১১ বিল থেকে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে বলে দাবি ইজারাদার পক্ষের।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ অভ য ন জলমহ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে জলমহালের মাছ লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় জলমহাল মাছ লুটের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ উপজেলায় আটটি জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে জলমহালে নেমে মাছ ধরে নিয়ে গেছেন। মাছ লুটের ঘটনায় দিরাই উপজেলার গোফরাঘাট জলমহালের ইজারাদারের পক্ষে গোফরাঘাট আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি লংকেশ্বর দাস বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি গ্রেপ্তার আটজনসহ দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করেছেন। দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ও তাড়ল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই মামলার আট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সরমঙ্গল ইউনিয়নের কল্যাণী গ্রামের জীবন রায় (৪৫), চন্দ্রপুর গ্রামের এরশাদ মিয়া (৩২) ও হুমায়ুন (২০), বাউসী গ্রামের বাঁধন বৈষ্ণব (২৩), সমীরণ বৈষ্ণব (১৪) ও মৃদুল বৈষ্ণব (১৫), তাড়ল ইউনিয়নের ভাঙ্গাডহর গ্রামের পিন্টু তালুকদার (৩২) ও মৃদুল দাস (২৮)।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, একটি মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁরা মাছ লুটের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এবং এ ঘটনায় যাঁদের ইন্ধন রয়েছে, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব সরকার প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার উপজেলায় কোনো জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেনি। একটি জলমহালে কিছু লোকজন জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ফিরিয়ে দেন।
গত শুক্রবার প্রথমে দিরাই উপজেলার কামান জলমহালে আশপাশের ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের মানুষ জড়ো হয়ে মাছ লুটে নিয়ে যান। সর্বশেষ বুধবার দিরাই উপজেলা বেতরই ও জামালগঞ্জের আইলা জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। লুট হওয়া জলমহালের মধ্যে দিরাই উপজেলার পাঁচটি, শাল্লার দুটি এবং জামালগঞ্জ উপজেলার একটি রয়েছে।