ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দিনের বেলায় পিকআপে তুলে ছাগল চুরি করে পালানোর সময় তিন চোরকে আটক করে জনতা। পরে তাদের গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের মিঠাপুর-রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ছাগলের মালিক মিঠাপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশ পিকআপসহ তিন চোরকে উদ্ধার করে।

আটক চোরেরা হলো– ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আয়নাল শেখের ছেলে আবদুর রাজ্জাক শেখ (২৫), একই উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে রাসেল মাতুব্বর (২৫) ও বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের মৃত তোরাফ শেখের ছেলে সেন্টু শেখ (২৭)।

জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে মিঠাপুর গ্রাম থেকে সফিকুলের দুটি ছাগল চুরি করে পিকআপে তুলে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাপুর বাজারে পৌঁছলে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। খবর দেওয়া হলে পুলিশ পিকআপসহ চোরদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রাতেই ছাগলের মালিক সফিকুল ইসলাম ধৃত তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। শনিবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের জের, মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়াল দুই এলাকার মানুষ

মা-মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার জের ধরে কু‌ড়িগ্রা‌মের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দুই এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্প‌তিবার ক‌য়েক দফার এই সংঘ‌র্ষে উভয় প‌ক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের এক নারী তাঁর মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু এলাকায় ঘুরতে যান। এ সময় সুন্দরগঞ্জের হ‌রিপুর ইউনিয়‌নের শহ‌রের মোড় এলাকার কয়েকজন কিশোর গোপনে তাঁদের ছবি তোলেন ও উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। মা–মেয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কিশোরেরা তাঁদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বিষয়টি চোখে পড়লে প্রতিবাদ জানান চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার সাজু ও মোতালেব মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। এরপর কয়েকজন তাঁদের মারধর করেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫) ভুট্টাখেত দেখতে গেলে শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে আলমগীরকে তাঁর পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেন। তাঁকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওই ঘটনার পর দুই পক্ষের মানুষ মাইকিং করে লোকজন ডাকে। এরপর দুই পক্ষের শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুপক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন। খবর পে‌য়ে কু‌ড়িগ্রাম থে‌কে সেনাবা‌হিনীর এক‌টি দল ঘটনাস্থ‌লে গিয়ে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রমনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম আশেক বলেন, গোপনে মা-মেয়ের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন থেকে দুই এলাকার মানুষের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। আজ চিলমারীর একজন কৃষক জমিতে কাজ করতে গেলে সুন্দরগঞ্জ শহ‌রের মোড় এলাকার কয়েকজন মিলে তাঁকে মারধর করে। ওই ঘটনায় দুই এলাকার মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

চিলমারী ম‌ডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, উভয় এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ