Samakal:
2025-04-11@00:06:45 GMT

সেতুর ওপর ঝুলছে ট্রাক

Published: 8th, March 2025 GMT

সেতুর ওপর ঝুলছে ট্রাক

ঢাকার ধামরাইয়ে বংশী নদীর ওপর বেইলি ব্রিজের পাটাতন ভেঙে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে কয়লাবোঝাই একটি ট্রাক। শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ভালুম-কালামপুর বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ধামরাই ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জনসাধারণ। তাদের বহনকারী যানবাহনগুলোকে অন্তত ১০ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় ৩৫ বছর আগে ধামরাইয়ের কালামপুর-ভালুম-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের বংশী নদীর ওপর স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে। ১০ বছর আগে সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার জন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় নেওয়া হয়। এ সড়ক দিয়ে ধামরাইয়ের সানোড়া, কুশুরা, ভাড়ারিয়া, বাইশাকান্দা, যাদবপুর ইউনিয়নসহ পাশের কালিয়াকৈর উপজেলার বিপুলসংখ্যক মানুষ ধামরাই সদরসহ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন।

বেশ কিছুদিন ধরে ভালুম-কালামপুর বাজারের ওই বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন ভালুম গ্রামের কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী ওয়াসিম রানা। তিনি বলেন, এ দশা অন্তত ১০ বছর ধরে চলছে। এরই মধ্যে কয়েকবার জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয় সেতুটি। এতে যানবাহন চলাচল কোনো রকমে চলছিল। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। 

স্থানীয় লোকজন জানান, ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এ সেতুর ওপর দিয়ে শ্রমিকবাহী বাসসহ ইট, বালু, মাটি ও কয়লাভর্তি শত শত ট্রাক যাতায়াত করে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে কয়লাভর্তি একটি ট্রাক ভালুমের দিকে যাচ্ছিল। সেটি সেতুর উত্তর পাশে যাওয়ার পরই পেছনের দুই চাকা সেতুতে দেবে যায়। এ দৃশ্য দেখতে বংশী নদীর দুই পারে শত শত মানুষ ভিড় করছেন।

কালামপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল হালিম কণ্ঠু বলেন, শনিবার দুপুরে ধসে পড়ার পর থেকেই সেতুটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ। হেঁটে চলারও উপায় নেই। সবাইকে বিকল্প পথে চলাচল করার জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে নয়ারহাট-ইসলামপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ওসমান গণি বলেন, বেইলি ব্রিজে দুর্ঘটনার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এখান দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করতে দ্রুতই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারী গাড়ি উঠলেই শুরু হয় কাঁপাকাঁপি

ভারী যানবাহন উঠলেই কাঁপাকাঁপি শুরু হয় বেইলি ব্রিজটির। যে কোনো সময় ধসে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। কয়েক বছর আগে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। সেখানে কোনো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়নি। এ কারণে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবহন। এ সেতু পারাপারে ভয় লাগে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
২০০৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর সড়কের চরছয়আনি গ্রামে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রামে যাতায়াতে বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার হয় সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত বাস, মিনিবাস, মালবাহী ট্রাক ও মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার চলাচল করছে। এ সড়কের বেইলি ব্রিজটি কয়েক বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। কিন্তু সেতুটির দুই পাশে নেই কোনো সতকর্তামূলক সাইনবোর্ড। অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই গাড়ি পারাপারের সময় সেতুটি ধসে পড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
চরছয়আনি গ্রামের সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যানবাহন পারাপার হওয়ার সময় কাঁপাকাঁপি করছে সেতুটি। সেতুর অনেক অংশে লোহার শিট দিয়ে ওয়েল্ডিং করে জোড়া দিয়ে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি। কয়েক বছর আগে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। সেতুটির দৈর্ঘ্য দেড়শ ফুটের মতো। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের বাধানিষেধ অথবা ঝুঁকিপূর্ণ এ বিষয়টি উল্লেখ করে কোনো সাইনবোর্ড দেওয়া হয়নি। যেকোনো সময় অতিরিক্ত পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াতের কারণে ভেঙে পড়তে পারে বেইলি ব্রিজটি।
ফরদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা সুজন মাহমুদ জানান, কয়েক বছর ধরে বেইলি ব্রিজটির অবস্থা ভালো নয়। বছর দেড়েক ধরে কোনো সংস্কার করা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সেতুর দুই পাশে সড়ক ও জনপথের লোকজন কোনো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেয়নি। প্রতিদিন শত শত ট্রাক, বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। যে কোনো সময় সেতুটি ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মাসুদ মিয়ার ভাষ্য, পারাপার হওয়ার সময় সেতুটি দোল খায়। বছর দেড়েক আগে এটি সংস্কার করা হয়েছিল। এরও আগে কয়েকবার সংস্কার করা হয় সেতুটি। এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এ সেতু। দুর্ঘটনা ঘটে হতাহত হলে দায় নেবে কে– এমন প্রশ্ন তাঁর।
ট্রাকচালক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘বেইলি ব্রিজ দিয়ে পারাপারের সময় ভয়ে থাকি কখন যেন নিচে পড়ে যাই। চলাচলের সময় সেতুটি কাঁপে। বিভিন্ন জায়গায় ওয়েল্ডিং করে জোড়া দিয়ে রাখা হয়েছে।’ 
উজানচর কেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গাজী আব্দুল হাই জানান, এ সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় ভয় লাগে। ভারী কোনো গাড়ি উঠলে কাঁপতে 
থাকে সেতুটি। এভাবে চলতে থাকলে যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে। জরুরি 
ভিত্তিতে নড়বড়ে বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইলি ব্রিজটির দুই পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো হবে। ওই জায়গায় পাকা সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অনেক সময় নাটবল্টু চুরি হয়ে যাওয়ার কারণে সেতুর মধ্যে ঝাঁকুনি হতে পারে। বিষয়গুলো দেখার জন্য লোক পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারী গাড়ি উঠলেই শুরু হয় কাঁপাকাঁপি