ভারতীয় কারাগারে বন্দি বাংলাদেশির মৃত্যু
Published: 8th, March 2025 GMT
প্রায় ১৮ মাস ভারতীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় কাটানো এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মো. আশরাফ হোসেন (৪৮) নামের ওই ব্যক্তি শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। অসুস্থতাজনিত কারণে ৬ মার্চ রাতে পশ্চিমবঙ্গের দমদম জেলখানায় তাঁর মৃত্যু হয়।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা.
আশরাফের স্ত্রী নাছিমা বেগম জানান, কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ১৮ মাস আগে ভারতে যাওয়ার সময় আশরাফ আটক হন। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৭ মার্চ তাঁর মৃত্যুর খবর এসেছে। যোগাযোগের অভাবে ঠিকমতো তাঁর চিকিৎসা করানো যাচ্ছিল না।
ইউএনও রনী খাতুন জানান, কৈখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী কাগুচী দমদম জেল থেকে আশরাফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে পরিবারটিকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আশর ফ
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে ৬৫০ টাকায় মিলছে গরুর মাংস, খুশি ক্রেতারা
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে স্বল্পআয়ের মানুষদের জন্য সুলভ মূল্যে সবজি, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রির হাটের উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে ৬৫০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস এবং ১১০ টাকায় ১ ডজন ডিম ও ২৫ টাকায় শসা ও ২০ টাকায় টমেটোসহ অন্যান্য সবজি কিনতে পারায় খুশি ক্রেতারা।
শুক্রবার ১০টার দিকে উপজেলার জয়িতা মহিলা মার্কেট চত্বরে এই হাট উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলীনূর খান।
স্বল্পমূল্যের এই হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ৬৫০ টাকা দরে মাংস কিনছেন ক্রেতারা।
ক্রেতারা জানান, স্থানীয় বাজারে গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও প্রতি ডজন ডিম খুচরা বাজারে ১৩৫-১৪০ টাকায়, সবজি বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। এখানে তারা কিছুটা কম দামে পাচ্ছেন। এতে ১০০-৩০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে তাদের।
বাজারে গরুর মাংস নিতে আসা আশরাফ আলী বলেন, সাধারণ বাজারের চেয়ে মাংস ১৫০ টাকা কমে পাচ্ছি। এট আমাদের মতো গরিবের জন্য অনেক কিছু। আমরা অনেক খুশি।
বাজারে আসা দিলরুবা নামে এক নারী ক্রেতা জানান, আমার বাড়ি শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। আজ শহরে অন্য কাজে আসছিলাম। এখানে মাংসের দাম কম থাকায় ১ কেজি গরুর মাংস নিলাম। তবে এই বাজার ইউনিয়ন পর্যায়ে দেওয়া হলে মানুষের আরো উপকার হতো।
জহিরুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারের দামের চেয়ে কিছুটা দাম কম, মূল্য আরো কমানো হলে ভালো হয়। তবে এই ধরনের উদ্যোগ অন্য বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীরা নিলে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলীনূর খান বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিম্ন আয়ের মানুষকে বাজার থেকে কিছুটা কমমূল্যে গরুর মাংস ও ডিম কেনার সুযোগ দিতেই এই উদ্যোগ। মাসব্যাপী এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।