উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর গোলাগুলি, রোহিঙ্গা যুবক নিহত
Published: 8th, March 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়া কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের বি-২১ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ রফিক (৩৩)। তিনি আশ্রয়শিবিরের বি-২১ ব্লকের বাসিন্দা শামসু আলমের ছেলে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ওসি আরিফ হোসাইন বলেন, গুলিবিদ্ধ যুবককে আশপাশের রোহিঙ্গারা উদ্ধার করে পাশের বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৯) একটি বেসরকারি সংস্থার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ক্যাম্পের একজন রোহিঙ্গা নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আশ্রয়শিবিরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছে। রাত ৯টার দিকে আরসার ১০-১২ জনের একটি রোহিঙ্গা সশস্ত্র দল আশ্রয়শিবিরের বসতিতে ঢুকলে আরএসও সদস্যরা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন রফিক।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, এর আগে ৪ মার্চ রাতে উখিয়ার তানজিমারখোলা আশ্রয়শিবিরে তারাবিহর নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে রোহিঙ্গা নেতা ও আশ্রয়শিবিরের হেড মাঝি মোহাম্মদ নুরকে। কয়েক দিনের ব্যবধানে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আশ্রয়শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০২৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। গত ৮ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সশস ত র গ ষ ঠ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’
ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।
একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’
এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।
মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’