হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদ সম্পর্কে প্রশ্ন, জানতে চাওয়া হলো হামাসের প্রতিষ্ঠাতার নাম
Published: 8th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষায় গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ও ফরহাদ হোসেনকে নিয়েও প্রশ্ন এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে বি ইউনিট। এতে সাধারণ আসন রয়েছে ৮৯৬টি। এই আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭২ হাজার ১৭১ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ২১ হাজার ৭৭৯ জন। তবে উপস্থিত ছিলেন ১৯ হাজার ২৮১ জন। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন ১৬ হাজার ৪৪ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বিভিন্ন কেন্দ্রে কতজন পরীক্ষা দিয়েছেন তা গতকাল বিকেল পর্যন্ত জানা যায়নি।
প্রতিবারের মতো এবারও ভর্তি পরীক্ষা বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে হয়েছে। ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজিতে আর সাধারণ জ্ঞান তিনটি অংশে প্রশ্ন এসেছে। প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাধারণ জ্ঞানের একটি প্রশ্নে বজানতে চাওয়া হয়েছে ‘জুলাই বিপ্লব ২০২৪–এর শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ও ফরহাদ হোসেন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন?’ এর চারটি অপশনের মধ্যে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
আবার এতে কোটা আন্দোলন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়েও প্রশ্ন এসেছে। একটি প্রশ্নে সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটার নতুন প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ জানতে চাওয়া হয়েছে। এতে অপশনে ছিল ২০ জুলাই, ২৩ জুলাই, ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই। আরেকটি ড.
বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইকবাল শাহীন খান প্রথম আলোকে বলেন,‘পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বুধবার থেকে উত্তরপত্র স্ক্যানিং শুরু হবে। পরে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।’
উল্লেখ্য গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে চট্টগ্রাম নগরে গুলিবিদ্ধ হন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ৪ আগস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে নিহত হন একই বিভাগের শিক্ষার্থী
ফরহাদ হোসেন। হৃদয় ওই বিভাগের তৃতীয় আর ফরহাদ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে তাঁদের স্মৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি স্থাপনার নামকরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় কলা অনুষদ ভবনের পূর্ব নাম আবু ইউসুফ ভবন বদলে শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া রাখা হয়েছে। আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে শহীদ ফরহাদ হোসেন রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফরহ দ হ স ন পর ক ষ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হলে ফিরে পাবেন যেভাবে
ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষতিকর ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে সেগুলো সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। সাধারণত স্প্যাম বার্তা পাঠানো, মেসেজ ফরওয়ার্ড করা, অনুমোদনহীন তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার এবং নীতিমালাবহির্ভূত কার্যক্রমের জন্য অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে অনেক সময় ভুলবশতও নিষেধাজ্ঞার শিকার হন কেউ কেউ। হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করা না হলে আপিলের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হলে তা ফিরে পাওয়ার কৌশল জেনে নেওয়া যাক।
অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হলে প্রথমেই জানতে হবে অ্যাকাউন্টটি হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে কি না। হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে থেকে হেল্পস ট্যাবে ক্লিক করে টার্মস অ্যান্ড প্রাইভেসি পলিসি অপশনে ক্লিক করলেই হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। যদি মনে হয় যে অ্যাকাউন্টটি ভুলবশত নিষিদ্ধ হয়েছে, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে আপিল করতে হরে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে প্রবেশ করে নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত বার্তাটি দেখতে হবে। এরপর ‘রিকোয়েস্ট আ রিভিউ’ অপশন নির্বাচন করলেই মোবাইল নম্বরে ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ। এরপর নম্বরটি কাজে লাগিয়ে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন নিষেধাজ্ঞাটি অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যে ৪ কৌশলে বেশি হ্যাক করা হয়২১ মার্চ ২০২৫অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধের পর যদি আপিলের সুযোগ না থাকে, তাহলে ই-মেইলের মাধ্যমেও আপিল করা যাবে। এ ক্ষেত্রে এই ঠিকানায় ([email protected]) ই-মেইল পাঠিয়ে ফোন নম্বর (দেশের কোডসহ) উল্লেখ করতে হবে এবং নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইতে হবে। সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে হবে কেন মনে হচ্ছে অ্যাকাউন্টটি ভুলবশত নিষিদ্ধ হয়েছে। ব্যবহারকারীর আবেদন পর্যালোচনার পর হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়ে দেবে নিষেধাজ্ঞাটি প্রত্যাহার করা হবে কি না।
আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে যে ৫ কারণে০৩ এপ্রিল ২০২৫