সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখার ২৬ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার বাকৃবি ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনটির কার্যালয়ে ২৪তম কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নতুন কমিটির সভাপতি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সঞ্জয় রায় ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জায়েদ হাসান ওয়ালিদ।

২৪তম কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি রিফা সাজিদা। এটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় রায়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ। এ সময় সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক গৌতম কর ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত দাস উপস্থিত ছিলেন।

কাউন্সিলে বক্তারা শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের নিন্দা এবং জুলাই-আন্দোলনের সব নির্যাতনকারীর শাস্তির দাবি জানান। সেই সঙ্গে নতুন হল নির্মাণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

নতুন কমিটির সহসভাপতি হিসেবে আছেন মাহবুবা নাবিলা, অর্ণব দাস ও আবদুল আলীম। বিভিন্ন পদে আছেন সহসম্পাদক জাবের ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক পুষ্পিতা ভট্টাচার্য্য, দপ্তর সম্পাদক অমৃতা মণ্ডল, অর্থ সম্পাদক শতাব্দী কর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সবুজ পাল, গ্রন্থাগার সম্পাদক মাসরুল আহসান, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক লক্ষ্মণ রায়, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাতুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক অন্তর ঢালী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সৌমিত্র পাল ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান। নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামিমাইয়সিনুর রহমান ইন্না, জ্যোতি বিশ্বাস, ওয়াকিল খানভী আশরাফসহ ১০ জন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ট র স

এছাড়াও পড়ুন:

চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে পাঁচ দিন ছুটির দাবি

চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার’ নামের একটি সংগঠন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সদস্য মিশন চাকমা।

এতে বলা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিহু, চাংক্রান, চৈত্রসংক্রান্তি আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এ উৎসব পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতিসত্তা এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের কাছে জাতীয় ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক। ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত শতাধিক বিভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও উৎসবের দিন তাঁদের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উৎসব উপলক্ষে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এক দিনের রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করেছে।

এর আগে গত ৫ মার্চ উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছিল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। চিঠি দেওয়া ওই সংগঠনগুলো হচ্ছে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আলোচনায় রাজি হিজবুল্লাহ
  • মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়: ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
  • চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে পাঁচ দিন ছুটির দাবি
  • হাবিপ্রবিতে ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
  • ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীরা ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর’: হেফাজতে ইসলাম
  • ‘আধুনিক’ পাহাড়ি গান-নৃত্য যাঁদের দিয়ে শুরু