পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু) বলেছেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হলে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীর ভূমিকা ছিল অনন্য। তাই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।

আজ শনিবার রাঙামাটিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সন্তু লারমা। শহরের স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা আশিকা হলরুমে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহযোগী সংগঠন মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এ সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিলা সমিতির সভাপতি রিতা চাকমা। বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের সদস্য রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা, পরিষদ সদস্য নাইউপ্র মারমা মেরী, আইনজীবী সুস্মিতা চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহসভাপতি ভবতোষ চাকমা, বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সন্তু লারমা আরও বলেন, সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন না হলে নারীর অধিকার ও মর্যাদার পথ সুগম হতে পারে না। বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমাজব্যবস্থা পরিবর্তন না হলে নারী অধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে বর্ষবরণে নানা আয়োজন

‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

আজ সোমবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে জেলা প্রশান, প্রচ্ছদ, হিজিবিজি, সরকারি কলেজ, উদীচী, এনসিটিএফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

জেলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি, পুতুল নাচ, চরের কৃষকদের নানা কথা উঠে আসে শোভাযাত্রার মোটিভগুলোতে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের কুড়িগ্রাম সরোবরে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও সেখানে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ইকো পার্কে পুতুল নাচ, ভেলাকোপা গ্রামে লাঠি খেলা, পাঁচগাছির ভেলুর বাজারে ঘোড়া খেলাসহ দিন্যবাপী বর্ষবরণের নানা আয়োজন জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে জেলায় বৈশাখী মেলা না হওয়ায় কিছুটা অখুশি দেখা যায় জেলা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

জেলা শহরের বাসিন্দা হামিদুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর কুড়িগ্রামে ধুম-ধাম করে বর্ষ বরণ হলেও, বিগত কয়েক বছর থেকে বৈশাখী মেলা হয় না, এটি হলে ভালো হতো।’

পুতুল নাচ দেখতে আসা জারা ইসলাম বলেন, ‘বাবার সঙ্গে প্রথম পুতুল নাচ দেখতে আসলাম, খুব ভালো লাগছে।’

হিজিবিজির সংগঠক রাজ্য জ্যোতি বলেন, ‘বর্ষ বরণের নানা আয়োজন কুড়িগ্রাম সরোবরে দিনব্যাপী চলবে। প্রশাসন থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ