কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮মার্চ) বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভবনের নিচে সিনামন রেস্টুরেন্টে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাসাসের  কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক  আনিসুল ইসলাম সানী ও প্রধান আলোচক হিসাবে ছিলেন কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের প্রধান উপদেষ্টা মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের সহ ধর্মিনী শিরীন হাবিব।

কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের সাধারন সম্পাদক ডি এইচ বাবুল সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের সভাপতি খোরশেদ আলম নাসির সভপিতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মজিবুর রহমান, 

 নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি এড.

সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম-সম্পাদক  আকবর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ মিলন ও শহীদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাস সভাপতি স্বপ্ন চৌধুরী 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সাবেগ যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মঞ্জুরুল আলম মুসা,নারায়ণগঞ্জ  মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য শরীফুর রহমান, নাসিক ৮ং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আক্তার হোসেন প্রমুখ। 

এসময় অনুষ্ঠানে অতিথিরা মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের স্মৃতির চারণ করে তার কর্ম জীবনী গুণাবলি তুলে ধরেন। 

এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে জাসাসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক  আনিসুল ইসলাম সানী বলেন, কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের প্রধান উপদেষ্টা মরহুম হাবিবুর একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন,

আমি তাকে কখনো মলিন চেহারা দেখি নাই, তার জীবনে বহু ঘটনার মধ্যে একটি ঘটনা বেশি মনে পড়ে। ১৯৯১ সালে নির্বাচনের সময় নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের পরিচালনার দায়িত্বের সময় আমি  তাকে দেখছি, নিজের টাকা খরচ করে পাগলের মত তখন ছুটতো তৎকালীন সময় আলোচিত একটি  পোস্টার ছিলো  "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ধানের শীষে বিসমিল্লাহ " তিনি (হাবিবুর)  নিজের খরজে প্রত্যেক থানা যেয়ে তিনি বিতরণ করতেন।

আল্লাহ তাকে অসময় দুনিয়া থেকে নিয়ে গেছে।  "তার দুর্ঘটনার পর থেকে দার কবরস্থ পর্যন্ত আমি ছিলাম হাবিব ভাই নামের উপর কতকিছু হওক যদি আমাকে সরণ করে আমি আসবো। তার প্রাণপ্রিয় আমরা মোহামেডান  সংগঠনটি ধরে রাখবেন সবসময় আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইলো "।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র ক ন দ র য় আমর ন র য়ণগঞ জ র রহম ন অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ : আহত শতাধিক 

রূপগঞ্জে রবিনটেক্স গার্মেন্টস নামে একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাটাই, বোনাস ও বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাংচুর করে।  

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিচার্জ করলে শ্রমিকরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপে করে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে তাৎক্ষনিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট মুবীন, সৈনিক বাঁধন, সোহরাব, মেহেদী, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদিকুর রহমান, শ্রমিকদের মাঝে শাফিয়া, রুনা, মলিনা, মাজেদা ও রুপুর নাম জানা গেছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউখাবো এলাকায় ওই গার্মেন্টসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় ১০ জন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে টানা ৪ ঘন্টা ঢাকা সিলেট মহাসড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। 

শ্রমিকরা জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৯ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পোষাক পোশাক কারখানাটি বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ দেওয়ার আগে গত ২৮ মার্চ বিনা নোটিশে কোন প্রকার কারণ ছাড়াই ৬৫ জন শ্রমিককে ছাটাই করা হয়। এছাড়া পোশাক কারখানা বন্ধ দেওয়ার আগে শ্রমিকদের ৬৫ শতাংশ বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও ৫০শতাংশ মালিকপক্ষ প্রদান করেন। 

এছাড়া এক মাসের বেতন প্রদানের কথা থাকলেও ২০ দিনের বেতন দিয়েই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার কারখানা খোলার দিন শ্রমিকরা মালিকপক্ষকে ছাটাইয়ের কারণ, বেতন ও বোনাস দেওয়ার কথা বললে মালিকপক্ষ নানা রকম টালবাহানা শুরু করেন। 

বুধবার সকালে আগের মতোই তাদের দাবি নিয়ে কারখানার ভিতরে অবস্থান করছিল। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।

দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে সেনাবাহিনী, পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর চড়াও হন। উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেন। 

পরে শ্রমিকরা কারখানার বাহিরে এসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিদ্যুৎের খুঁটি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এসময় মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরাতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। 

নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) মো. মেহেদী ইসলাম বলেন, দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মবিন ও কয়েকজন সৈনিকসহ পুলিশের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের সময় আমার এবং রুপগঞ্জ থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা ১০ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির লিফলেট বিতরণ
  • রাজশাহীতে চিকিৎসায় অবহেলা, রোগী মৃত্যুর অভিযোগ
  • রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ : আহত শতাধিক 
  • রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহ
  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
  • গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য  সংগঠকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
  • রূপগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় স্টেডফাস্ট কর্মী নিহত, আহত ১ 
  • ফতুল্লা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ
  • ফতুল্লায় ডাইং কারখানায় মাটি চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত, আহত ৩