ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ, আটক ৬
Published: 8th, March 2025 GMT
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে আবদুল মালেক নামে বৃদ্ধকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে উজিরপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আবদুল মালেকের সঙ্গে প্রতিবেশী কামাল উদ্দিনের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। যা নিয়ে উভয় পক্ষের একাধিক মামলাও চলমান। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উভয় পক্ষ ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে কামাল উদ্দিনের নেতেৃত্বে ছয়-সাতজন বৃদ্ধ আবদুল মালেককে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে বিদ্যুতের আলো নিভিয়ে দেয়। পরে তাঁকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবদুল মালেককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা কামাল উদ্দিন ও তার সহযোগীদের বাড়ি ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত কামাল উদ্দিনসহ ছয়জনকে আটক করে।
নিহত মালেকের ছেলে মহিন উদ্দিন বলেন, ‘কামাল উদ্দিন গংদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কামাল উদ্দিনরা বিরোধপূর্ণ জমিতে বেড়া নির্মাণ করছিলেন। এ সময় আমার বাবা বাধা দেন। এর জেরে তারা রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিকল্পনা করে আমার বাবার ওপর হামলা করে এবং ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আবদুল মালেককে পিটিয়ে হত্যা করেছে কামাল উদ্দিন গংরা। মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পরলে এলাকাবাসী কামাল উদ্দিন গংদের বাড়ি ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কামাল উদ্দিনসহ ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দু’জন নারী। এ বিষয়ে এখনও মামলা হয়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আবদ ল ম ল ক
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে শহীদ বাবার কবরের পাশে শায়িত কলেজছাত্রী, কান্না থামছে না মায়ের
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় জুলাই আন্দোলনের শহীদ বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে কলেজছাত্রী মেয়েকে। আজ রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজ গ্রামের বসতঘরের সামনের আঙিনায় তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান স্বজনেরা।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ১৮ মার্চ তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুমকি থানায় মামলা রয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হন স্বজনেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। একই অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন কলেজছাত্রীর মা। তিনি অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নার একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় স্বজনেরা তাঁকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যান। নিজ ঘরে পৌঁছানোর একপর্যায়ে জ্ঞান ফিরলে তিনি আবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থা থেকে কলেজছাত্রীর বৃদ্ধ দাদাও সেখানে কান্নাকাটি শুরু করেন।
আরও পড়ুনশহীদ বাবার পাশেই কলেজছাত্রীকে দাফনের প্রস্তুতি, কবর খুঁড়ছেন বৃদ্ধ দাদা৬ ঘণ্টা আগেপরে বাড়ির পাশে একটি স্কুলমাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাজায় বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, এনসিপির মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলমসহ নেতা–কর্মীরা অংশ নেন।
এর আগে কলেজছাত্রীর মা জানিয়েছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর শহীদ স্বামীকে দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
ওই নারী আরও বলেন, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় তাঁর মেয়ে। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তার অশালীন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলে। এরপর তাঁরা গত ২০ মার্চ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। সেই দুজন কিশোর। তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনজুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়েটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর, হাসপাতালে ক্ষোভ৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপটুয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার২১ মার্চ ২০২৫