"অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারীদের উন্নয়ন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ শহরে দলিত সম্প্রদায়ের প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার  বিকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পাইকপাড়ায় দলিত নারী উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দলিত সম্প্রদায়ের চারজন নারীকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

দলিত নারী উন্নয়ন সংস্থার প্রধান সনু রানী দাসের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার আঞ্জুমান আরা, রং মেলা নারী সংস্থার প্রধান  নীলা প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, নারীদের এগিয়ে যেতে হলে  লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে, তাহলে আমাদের একসঙ্গে যেতে হবে। জাতি ও সমাজ গঠনে একসাথে চলার কোনো বিকল্প নেই। দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে হলে, কোনো একটি অংশকে দুর্বল রেখে বা আঘাতপ্রাপ্ত রেখে তা সম্ভব নয়। তাই নারী-পুরুষ সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।  

নারীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে। তবেই দেশ ও জাতির উন্নয়নে নারীরা নিজের ভূমিকা রাখতে পারবে। 

এছাড়াও দলিত নারীদের চ্যালেঞ্জ ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা  প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এসব চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবেলা করা যায়, তা নিয়েও মতবিনিময় করেন। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ধৈর্য ধরার আহ্বান কুয়েট কর্তৃপক্ষের, হলে ওঠার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ১৫ এপ্রিল। তবে এখনই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। এ জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান।

এদিকে আগামী রোববার ক্যাম্পাসে ফিরে সবাই একসঙ্গে হলে ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ‘কুয়েট ১৯’ নামের একটি ফেসবুক পেজে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার ওই ঘোষণা দেন। ওই পেজ থেকে কুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিক। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের অপূরণীয় ক্ষতির কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থী ও সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে অতি দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও হলগুলো খোলার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী–শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কুয়েটের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দাপ্তরিক কার্যক্রম ১৫ এপ্রিল শুরু হবে, এটা আগেই সিদ্ধান্ত ছিল। আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে হয়েছে; তাই সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমেই এ দুই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে শরীফুল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা হয়নি। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা আছে।

এদিকে কুয়েট ১৯ নামে শিক্ষার্থীদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘কুয়েটের হল কমিটি, সব বিভাগের ভিপি ও সিআরদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৩ এপ্রিল নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রত্যাশায় আমরা আমাদের কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রত্যাগমন করব এবং সবাই একসঙ্গে হলে উঠব।’

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সব শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংঘবদ্ধভাবে ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে ফেসবুক পোস্টে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুয়েট ১৯ ফেসবুক পেজে আরও একটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান প্রশাসনকে কুয়েটিয়ানরা পরিহার করেছে। কুয়েটিয়ানদের ১৩ এপ্রিল হলে ফেরার ঘোষণার মুখে প্রশাসন থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিকে আমরা পরিহার করছি। ১৩ এপ্রিল সারা দেশ থেকে কুয়েটিয়ানরা তাদের নিজ নিজ হলে ফেরত আসবে।’

১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরের দিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংঘর্ষের ওই ঘটনার তদন্তে কমিটিও করা হয়। ওই দিন রাতেই খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে লাল কার্ড দেখান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা খুলনা থেকে ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। এতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এত বছর কেউ আমার কথা ভাবেনি: জিৎ
  • তবে কি মাহওয়াশের প্রেমে মজেছেন চাহাল 
  • তবে কি মহওয়াশের প্রেমে মজেছেন চাহাল 
  • ওয়াক্‌ফ নিয়ে ভারতের মণিপুরে বিক্ষোভ, পশ্চিমবঙ্গে না চালুর ঘোষণা মমতার
  • মা আমাকে বিয়ে না করারই পরামর্শ দিয়েছেন: বিবৃতি
  • বৈশাখের কয়েক পদ
  • ধৈর্য ধরার আহ্বান কুয়েট কর্তৃপক্ষের, হলে ওঠার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
  • চারঘাটে মদ্যপানে দুজনের মৃত্যু, পুলিশ বলছে ‘অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন’
  • টাঙ্গাইলে একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব 
  • মির্জাপুরে একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব, জীবিত ৩ নবজাতক