মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার দুপুরে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলে তিনি চিকিৎসা ও ঘটনার বিচারের জন্য পাশে থাকার আশ্বাস দেন। দলের নেতাকর্মীদেরও ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তারেক রহমান।

মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলামের (নয়ন) মোবাইল ফোনে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সে সময় শিশুটির মা তারেক রহমানকে বলেন, তার মেয়ের শরীর ভালো না। রক্ত দেওয়া হচ্ছে। এরপর তারেক রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের ওখানে যেসব নেতাকর্মী আছেন, তাদের আমি বলেছি। তারা (শিশুটির) পাশে থাকবেন, যাতে সে ন্যায়বিচার পায়। শিশুটির চিকিৎসার জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেগুলো যাতে নেওয়া হয়। চিন্তা করবেন না, আমরা আছি, দেশের মানুষ আপনাদের পাশে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিশুটির সঙ্গে যারা অন্যায় করেছে, তারা যাতে শাস্তি পায়, এর জন্য আমাদের অবস্থান থেকে আমরা চেষ্টা করব, যতটুকু সম্ভব আমরা চেষ্টা করব। যাতে দেশের আইন অনুযায়ী আপনারা ন্যায়বিচার পান।’

তখন শিশুটির মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আপনি যদি দেখতেন, আমার ছোট মনিডার সঙ্গে কী করা হইছে। আপনার কাছে আবেদন, আপনি দোয়া করবেন, যাতে আমি আমার মনিডার ফেরত পাই। আর যারা এই কাজ করেছে, তাদের যেন শাস্তি হয়।’

সংকটাপন্ন শিশুটিকে আজ বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে। এর আগে ঢাকা মেডিকেলে অবস্থায় তাকে দেখতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম ও নিপুণ রায় চৌধুরী। 

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিশুটির ওপর যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে, এটা মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। তার কি বেঁচে থাকার থাকার কোনো অধিকার নেই? সরকার কী করছে?’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

বৃথা গেল আল-আমিনের সেঞ্চুরি, আবাহনীর জয়

সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দিয়েছিলেন আল-আমিন জুনিয়র। কিন্তু তার সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনটি রাঙাতে পারেননি বোলাররা। আবাহনী অনায়েসে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। তাতে বৃথা যায় আল-আমিনের সেঞ্চুরি। দল হারলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে রূপগঞ্জ টাইগার্স ২৬০ রান তুলতে পারে। দলটির অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র ৮৯ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রান করেন। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ফয়সাল। মাহমুদুল হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। বাকিরা কেউ বিশের ঘর পেরোতে পারেননি।

আবাহনীর হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদ রানা ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

আরো পড়ুন:

নাঈম শেখের ১৭৬, দলের জয়ের ব্যবধান ১৭৩

দুই বছর পর ঢাকা লিগে তামিমের সেঞ্চুরি

বোলাররা লক্ষ্য নাগালে রাখায় ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ হয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে জিসান ও পারভেজ হোসেন ইমন ৬২ রান যোগ করেন। জিসান ৩২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ইমন আউট হন হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে থাকতে। সেখান থেকে শান্তর ৩৭, মোহাম্মদ মিঠুনের ৫৬ রানে আবাহনীর জয়ের পথ সহজ হয়ে যায়। রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে বল হাতে ফয়সাল নেন ২ উইকেট।

প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর টানা দুই ম্যাচ জিতে ভালো অবস্থানে আবাহনী। রূপগঞ্জ টাইগার্স তিন ম্যাচে জয় পায়নি একটিতেও।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ